গতকালই নিশ্চিত হয়েছিল সবাই যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আর থাকা হচ্ছে না হোসে মরিনহোর। ছাঁটাই হয়েছেন তিনবারের প্রিমিয়ার লিগে জেতা এই কোচ। আনুষ্ঠানিকভাবে অবশ্যই ‘ছাঁটাই’ শব্দটা ব্যবহার করা হয়নি। ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ক্লাবের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মরিনহো। তো সরে দাঁড়ানো ইউনাইটেডের দায়িত্বটা কে পাবেন এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। বড় বড় সব নামগুলোকে গ্রীষ্মের দলবদলের জন্য জমা রেখে মাইকেল ক্যারিককে অন্তর্বর্তী কোচ বানিয়ে ফেলেছিল ইংলিশ মিডিয়া। কিন্তু ক্যারিক নয় অন্য এক প্রাক্তন খেলোয়াড়কেই বেছে নিয়েছে ইউনাইটেড।
হোসে মরিনহোকে বরখাস্তের এক দিন পরই তার জায়গায় ওলে গুনার সোলসকায়েরকে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসাবে নিয়োগ করল ম্যfনচেস্টার ইউনাইটেড। পোগবা-মার্শিয়াল-লুকাকুদের সামলানোর দায়িত্বটা পেয়েছেন তিনি।
‘বেবি ফেইসড এসাসিন’ নামেই সবাই চেনে ওলে গানার সোলসকায়েরকে। বাচ্চাদের মতো নিষ্পাপ এক মুখ। কিন্তু ঠিকই মাঠে নেমে প্রতিপক্ষের স্বপ্ন ভেঙে দিতেন। আচমকা গোল করে ইউনাইটেড এনে দিয়েছেন অবিশ্বাস্য সব জয়। বদলি নেমে ম্যাচ ঘুড়িয়ে দেওয়ার অসাধারণ এক ক্ষমতা ছিল এই নরওয়েজিয়ানের। ‘সুপার সাব’ ডাকনামটাও তাই তাঁর সঙ্গে মানিয়ে যেত বেশ।
১৯৯৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ম্যঅনইউর হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। ১৯৯৮-৯৯ মরসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ইউনাইটেডের ২-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচের যোগ করা সময়ে জয়সূচক গোল করেন তিনি। ১১ মরসুমে ইউনাইটেডের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৬৬ ম্যাচ খেলে ১২৬ গোল করেন তিনি । এবার তিনি দায়িত্ব পেলেন কোচের। এই মরসুমের বাকি সময় নরয়েজিয়ান সোলসকায়েরই হবেন ম্যানইউর ত্রাতা।
সোলসকায়ের ইউনাইটেডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলেছেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আমার অন্তরে। এই ভূমিকায় ফিরে আসতে পারা আমার জন্য চমৎকার। খুব প্রতিভাবান দলের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি সত্যিই উন্মুখ হয়ে আছি, এই ক্লাবের প্রত্যেকে দারুণ।’