প্রিমিয়ার লিগে ১৭ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয় নম্বরে। চার নম্বরে থাকা চেলসির সঙ্গেই ১১ পয়েন্টের ব্যবধান, শীর্ষস্থানীয় লিভারপুলের সঙ্গে ১৯ পয়েন্টের। প্রিমিয়ার লিগ জেতা তো দূরের কথা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শেষ চারে থেকে মরসুম শেষ করতে পারে কি না, তা নিয়েই সন্দেহ আছে। বোঝাই যাচ্ছে, মাঠে ধারাবাহিক ব্যর্থতার খেসারত গুণে ইউনাইটেডের কোচ পদ থেকে ছাঁটাই হয়েছে হোসে মরিনহো। তবে ওল্ড ট্রাফোর্ড থেকে মরিনহোর বিদায়ের কারণ শুধু বাজে পারফরম্যান্সই নয়; এর পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে ইউনাইটেডের প্লেয়ারদের সঙ্গে বাজে সম্পর্কও।
লিভারপুলের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হারের পর অনেকেই ভেবেছিলেন, এটাই বুঝি ওল্ড ট্রাফোর্ডে মরিনহো-অধ্যায়ের কফিনে শেষ পেরেক। শেষ পর্যন্ত ঘটেছেও ঠিক তা–ই। দলের বাজে পারফরম্যান্স তো ছিলই, সঙ্গে প্লেয়ারদের সঙ্গে বেশ আগে থেকেই সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছিল না এই পর্তুগিজ কোচের। কিছু দিন আগেই ইউনাইটেডের অনুশীলনে ফরাসি মিডফিল্ডার পল পোগবার সঙ্গে মরিনহোর বচসার ভিডিও আলোড়ন তুলেছিল। মরিনহোর সঙ্গে বচসার জের ধরে দলের সহ-অধিনায়ক পদও হারান পোগবা।
মরিনহোর ছাঁটাই হওয়ার ৪৫ মিনিট পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেন ইউনাইটেড তারকা। চতুর চাহনিতে পগবার সেই বাঁকা হাসির ছবি নিয়ে বেশ আলোড়ন চলছে টুইটার থেকে ইনস্টাগ্রাম কিংবা ফেসবুকেও। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন—‘ক্যাপশন দাও’। মানে পগবার তাঁর বাঁকা হাসির সেই ছবির ক্যাপশন ভক্তদের দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। যদিও পোস্টটি কয়েক মিনিট পরই মুছে দেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে পোগবার সেই ছবির হাজারো স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। অনেকেরই মত, মরিনহো ছাঁটাই হওয়ার খুশিতেই পোগবার এই ছবি!
শুধু পোগবা নন, অ্যালেক্সি সানচেজের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো ছিল না মরিনহোর। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আর্সেনাল থেকে বছরখানেক আগে চিলির এই তারকা ইউনাইটেডে আসার পর থেকেই বিরোধ ছিল দুজনের মধ্যে। এ ছাড়া আছেন হুয়ান মাতা। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মাতার সঙ্গে চেলসিতেই সম্পর্ক খারাপ ছিল মরিনহোর।