হাইকোর্টের নির্দেশে এখনও থমকে আছে গেরুয়া শিবিরের রথ। যা নিয়ে হতাশার শেষ নেই তাদের। তার ওপর আবারও বিজেপির রথযাত্রাকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের সভায় তিনি বলেন, ‘ওরা ৫ রাজ্যে গদিচ্যুত হয়ে বলছে এ রাজ্যে রথযাত্রা করবে। দিল্লি থেকে বিলাসবহুল বাস এনে তাকে বলছে রথ। গাধাকে দেখিয়ে ঘোড়া বলছে আর সেভেন স্টার বাসকে রথ! একটা রথ তাতে আবার রয়েছে খাবারের জায়গা, ফূর্তি করার জায়গা! এই তো দিলীপ ঘোষদের দলের অবস্থা।’
এখানেই না থেমে অভিষেক বলেন, ‘আমরা দেবদেবীর রথের কথা শুনেছি, শ্রীকৃষ্ণের রথের কথা শুনেছি। আমরা পুরীর জগন্নাথ দেবের রথ, মাহেশের রথ, মদনমোহনের রথ, শ্রী রামকৃষ্ণের রথ দেখেছি। কিন্তু বিজেপির এ কোন রথ? যেখানে দেবদেবীর জায়গায় সাম্প্রদায়িক অসুররা চড়বে। ওঁদের এটা নগ্নরূপ।’ এরপরই সাধারণ মানুষ এবং দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘বিজেপি নেতারা রথে চড়ে বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছেন। সংযত, সতর্ক থাকতে হবে। ওরা যতই রথ বের করুক কিছুই করতে পারবে না।’
এ রাজ্যে তৃণমূল যে সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না, তা সাফ জানিয়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি মুখে শুধু হিন্দু হিন্দু বলছে। কিন্তু ৫ রাজ্যের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে দেখুন, সেখানে প্রায় ৯০ শতাংশ হিন্দু ভোটার। তাঁরা আজ বিজেপির থেকে হাত আর মুখ দুটোই ফিরিয়ে নিয়েছেন। সেখানকার মানুষ বুঝেছেন, বিজেপিকে ভোট দেওয়া আর খাল কেটে কুমির আনা দুটোই সমান।’ একইসঙ্গে মোদী ও তাঁর দলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ওরা যত তৃণমূলের বিরোধিতা করবে ততই মুখ থুবড়ে পড়বে। ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই বাংলার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-সহ মোদী সরকারকে ভারত ছাড়া করার ডাক দেবেন।’