জয়নগরে তৃণমূল বিধায়ককে হামলার ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েই ৪ জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। বৃহস্পতিবার রাতেই ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-র হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকার। তারপরেই সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে রাতেই আটক করা হয় ৪ সন্দেহভাজনকে। জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার সকালে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি। ঘটনার পর দিন সকালেও থমথমে গোটা এলাকা।
জানা গেছে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান,হামলার মূল টার্গেট ছিলেন জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসই৷ দুষ্কৃতীরা আগে থেকেই জানতেন যে বিধায়ক ওই সময়ে, ওই এলাকায় আসবেন এবং সেই মতোই আটঘাট বেঁধে হামলা চালানো হয়৷ দুষ্কৃতীরা বহিরাগত নাকি এলাকার, প্রথমে সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা৷ ধৃতদের জেরা করে এই হামলার মূল চক্রীর হদিশ পেতে চাইছে সিআইডি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের পেট্রোল পাম্পে তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের গাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। মুহুর্মুহু গুলি ও বোমা চলে। ঘটনায় নিহত হন গাড়ির চালক সেলিম খান, তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন খান-সহ ৩ তৃণমূল নেতা। ঘটনার সময় গাড়িতে না থাকায় বেঁচে যান বিশ্বনাথবাবু।
রাতেই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে তুলে দেয় রাজ্য সরকার। পেট্রোল পাম্পের সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে শুরু হয় তদন্ত। ছবি দেখে চিহ্নিত করা হয় ৪ দুষ্কৃতীকে। রাতেই তাদের আটক করেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদের পর সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব হামলায় সিপিএম বা এসইউসিআই-এর হাত থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে দুই দলই।