রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের সাথে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের উন্নতি নিয়েও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের হাল ধরার পর থেকে তাঁর হাত ধরে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পেয়েছে অন্য এক মাত্রা। এবার টলিউডের কলাকুশলীদের কাজের সুবিধার্থে বারুইপুরে আধুনিক ফিল্ম সিটি এবং টেলি অ্যাকাডেমি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
ইতিমধ্যেই সেখানে কাজ শুরু হয়ে গেছে। কেএমডি-এর তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ কাজটি চলছে। সম্পূর্ণ কাজটিতে খরচ হচ্ছে প্রায় ১৩৩ কোটি টাকা। নির্মীয়মাণ এই ফিল্ম সিটিতে থাকবে মোট ৪ টি আধুনিক সাজে সজ্জিত স্টুডিও। প্রতিটি স্টুডিওতে ক্যান্টিন, অ্যাকাডেমি হস্টেল, অ্যাকাডেমি হল, প্রশাসনিক ভবন, ল্যাবরেটরি-সহ মাঠ থাকবে। এছাড়াও থাকবে আপত্কালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দমকলের ব্যবস্থাও। নানা ফল ও ফুলের গাছে সাজিয়ে তোলা হবে স্টুডিও। বিশ্ব বাংলার স্তম্ভও রাখা হচ্ছে। বারুইপুরের টংতলায় রাজ্যের যে আধুনিক সংশোধনাগার তৈরি হয়েছে সেখান থেকে কিছুটা তফাতেই ১০ একর জমির ওপর গড়ে উঠতে চলেছে ফিল্ম সিটি।
বৃহস্পতিবারে কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে বারুইপুরে গেছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া এবং যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন টেলি অ্যাকাডেমির সদস্য পরিচালক প্রেমেন্দুবিকাশ চাকী, সুদেষ্ণা রায়, অভিনেতা রাহুল চক্রবর্তী, দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত, নন্দনের অধিকর্তা মহুয়া ব্যানার্জি-সহ অন্যরা। মন্ত্রী জানিয়েছেন নতুন বছরে জানুয়ারিতেই এই কাজ শেষ করে ফেলা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তিনি এসেছিলেন। কারণ মূলত মুখ্যমন্ত্রীই চেয়েছিলেন এই টেলি অ্যাকাডেমি গড়ে তুলতে।
শুধু এই ফিল্ম সিটিই নয় বিভিন্ন চ্যানেলের প্রতিদিনের ধারাবাহিকে যারা অভিনয় করেন, যারা ক্যামেরার আড়ালে থেকে সবটা সুনিপুণ ভাবে পরিচালনা করেন তাঁদের সম্মান জানাতে তাঁরই উদ্যোগে শুরু হয়েছে ‘টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস’। শিশু শিল্পী থেকে প্রবীণ অভিনেতাদেরকেও সম্মান জ্ঞাপন করা হয় এই অনুষ্ঠানে। কিছুদিন আগে টলি পাড়ায় প্রযোজক এবং পরিচালক-কলাকুশলী দের মাঝে কাজের সময় এবং যথাযথ পারিশ্রমিক নিয়ে সৃষ্টি হওয়া জটিল দ্বন্দ্বও তাঁর বদান্যতাতেই সমাধান হয়েছিল। আসলে রাজ্যের কাণ্ডারি তিনি। তাই সবদিককে সুশৃঙ্খল ভাবে বেঁধে রাখতে তিনিই পারেন।