বারবার ছন্দ হারানো রিয়াল মাদ্রিদ এবার আরও বড় বিব্রতকর হারের স্বাদ পেল। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা তিনবারের শিরোপাজয়ীদের তাদেরই মাঠে ধরাশায়ী করে দিয়েছে সিএসকেএ মস্কো।
শুরু থেকে শেষ…খেলায় একবারের জন্যেও ফিরতেই পারল না রিয়াল! গোল মিসের বন্যা! শেষ পর্যন্ত খেসারত দিতে হল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। আগেই নকআউট নিশ্চিত হয়েছে রিয়ালের। তাই বলে সিএসকেএ মস্কোর মতো দলের কাছে ৩-০ গোলের হার!
এই মস্কোর বিপক্ষেই চলতি মরসুমেই ম্যাচটি রিয়াল হেরেছিল ১-০ গোলের ব্যবধানে। শেষবার ২০০৮-০৯ মরসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে জুভেন্টাসের কাছে দুই লেগে হেরেছিল রিয়াল। ১০ বছর পর এবার জুভেন্টাসের হয়ে কাজটি করল সিএসকেএ। রাশিয়ার লুঝনিকি স্টেডিয়ামে প্রথম লেগে হারের পর নিজেদের মাঠে আরও বেহাল দশা রিয়ালের। রীতিমতো টালমাটাল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নেরা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের তকমা নিয়ে শেষ ষোলোতে উঠলেও লা লিগায় আগের ম্যাচে হুয়েস্কার বিপক্ষে ‘ঘাম ঝরানো’ জয়ের পরে, মস্কোর মতো দলের কাছে দুই লেগেই এভাবে ধরাশায়ী! ঝড়ের পূর্বাভাস নয় তো?
সোলারি রক্ষণ সাজান অনিয়মিত তরুণ খেলোয়াড়দের দিয়ে। মাঝমাঠেও মডরিচ-ক্রুসদের বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন রিয়ালের আর্জেন্টাইন এই কোচ।
খেলার ২৪তম মিনিটে গোলের প্রথম সুযোগ পায় রিয়াল। দুবারের চেষ্টাতেও সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি অ্যাসেনসিও-ভিনিসিউস জুনিয়র। ভিনিসিউস জুনিয়রের শট আটকে দেন মস্কোর গোলরক্ষক। ফিরতি বলে শট করেন মার্কো অ্যাসেনসিও। তাও গোলবারে লেগে ফিরে আসে। মিনিট দুয়েক পর ফের গোলের সুযোগ নষ্ট করেন অ্যাসেনসিও।
ম্যাচের ৩৭তম মিনিটেই বার্নাব্যু ঠান্ডা করে দেন শেলভ। শিগার্ডসন অসাধারণ নৈপুণ্যে মাঝমাঠ থেকে বল টেনে এনে ডি বক্সে আড়াআড়ি পাস দেন শেলভকে। মুহূর্তেই জায়গা করে নিয়ে বল জালে জড়ান শেলভ।
প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজার আগে আরও একবার বার্নাব্যুতে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। এবার রিয়াল–সমর্থকদের বুকে ছুরি চালান শেচেনিকভ। প্রথম চেষ্টায় চালোভের শট আটকালেও ফিরতি বলে শেচেনিকভের নেওয়া শটে কিছু করার ছিল না রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ার।
দ্বিতীয়ার্ধে নিয়মিত একাদশের খেলোয়াড়দের নামিয়েও ব্যবধান কমাতে পারেননি সোলারির শিষ্যরা। ৭৩ মিনিটে উল্টো গোল হজম করে বসেন। শিগার্ডসনের আড়াআড়ি শটে রিয়ালের পরাজয় নিশ্চিত হয়। ততক্ষণে খালি হতে শুরু করে গ্যালারিও।
এ জয়ে অবশ্য সিএসকেএ মস্কোর কোনো লাভ হয়নি। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হচ্ছে রাশিয়ার ক্লাবটিকে। ‘জি’ গ্রুপ থেকে রিয়ালের আরেক সঙ্গী ইতালিয়ান জায়ান্ট রোমা।