বাম আমলে উন্নয়ন হয়নি কিছুই। ভাঙাচোরা রাস্তাঘাটে রোজকার যাতায়াতে বিপর্যস্ত হত ভাঙরের মানুষজন।এই পরিচিত দৃশ্য এবার বদলে যাচ্ছে রাজ্য সরকারের সহায়তায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ভাঙড়ের বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের সামনের হাড়োয়া রোডকে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। যার ফলে সেই চেনা হাড়োয়া রোডকে সম্পূর্ণ নতুন রুপে দেখছে ভাঙ্গড়বাসী।
নতুন এই হাড়োয়া রোডকে এক্সপ্রেসওয়ে বললেও ভুল বলা হবেনা। কারণ মসৃণ পিচের রাস্তা হয়েছে, এক্সপ্রেসওয়ের মতই দু’ধারে বিভিন্ন জায়গাতে সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে। কোথাও রাস্তার বাঁক বা বাম্পারের নির্দেশ। আবার কোথাও কোথাও বড় বড় করে গন্তব্যের দূরত্বের কথা লেখা। মসৃণ রাস্তা দিয়ে দ্রুতগতিতে ছুটছে বাস, অটো, ভ্যান, মোটরবাইক।
ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকের পাকাপোল থেকে ভায়া বোয়ালঘাটা হয়ে উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের কোল পর্যন্ত হাড়োয়া রোডকে ঝাঁ–চকচকে করে তুলেছে রাজ্যের পূর্ত দপ্তর। গ্রামের মধ্যে এমন উন্নত রাস্তা পেয়ে গ্রামবাসী ভীষণই খুশি। ১৯ কিমি দীর্ঘ রাস্তার ১০ কিমি ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। বাকি কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই পুরো কাজটিতে ২২ কোটি টাকা খরচ হবে এমনটাই জানা গেছে। ভাঙড়–২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আবদুর রহিম জানান, শুধু ওই রাস্তাই নয়, ভাঙড়ের বিদ্যুৎ সাবস্টেশন সংলগ্ন গ্রামের অন্য রাস্তাগুলিকেও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। প্রতিটি রাস্তাই তৈরি হচ্ছে নতুনভাবে। বিজয়গঞ্জ বাজার থেকে নতুনহাট–মাছিভাঙা হয়ে ঢালিপাড়া, খামারআইট থেকে প্রাথমিক স্কুল, পানাপুকুর থেকে চরিসার এবং অনন্তপুর থেকে পাকাপোল রাস্তাও তৈরি হচ্ছে। কোথাও ৭ কিমি, কোথাও ৩ কিমি, কোথাও ১ কিমি রাস্তা হচ্ছে।
এই রাস্তাটি ভাঙড়ের উন্নয়নেরই দিকনির্দেশ করছে বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘প্রত্যেকদিনের যাওয়া-আসার জন্য ওই রাস্তাটিই ব্যবহার করতে হত। আগে ভাঙা রাস্তা থাকায় খুবই অসুবিধা হত। এখন নতুন রাস্তা হওয়াতে সবারই খুব সুবিধা হচ্ছে।’ রাজ্য জুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের যে রথ দ্রুত গতিতে ধাবমান হচ্ছে, ভাঙর তাকে আরও গতিশীল করবে এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।