২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল হিসাবে ধরা হয়ে ছিল এই ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে। আর সেই সেমিফাইনালের ফলাফলে গোবলয়ে প্রায় ফাঁকা হয়ে গেল পদ্মদীঘি। ৫ রাজ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি৷ এর ফলে এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে আর বাংলায় এসে মুখ পোড়াতে চাইছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তড়িঘড়ি নিজের বাংলা সফর বাতিল করলেন তিনি৷ চলতি মাসের ১৬ তারিখ শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রীর যে জনসভা হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব৷
ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস৷ মধ্যপ্রদেশেও বেশ সুবিধাজনক রয়েছে রাহুল গান্ধীর দল৷ মঙ্গলবার এমন সময়েই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কলকাতার ৬ মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য দফতরে এই খবর আসে৷ যা ঘিরে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের রাজ্য নেতাদের মধ্যে৷ একাংশের মতে, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভয়ংকর খারাপ ফলই প্রধানমন্ত্রীর সফর বাতিলের অন্যতম কারণ। আবার অন্য অংশ বলছে, রাজ্য বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে টানাপোড়েনের কারণে রাজ্যে আসছেন না প্রধানমন্ত্রী৷
আগেই স্থগিত হয়ে গিয়েছে এ রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের বহুচর্চিত রথযাত্রা কর্মসূচি৷ হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে এই কর্মসূচির দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে হবে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে৷ ফলে বিজেপির রথের রশি এখনও আদালতের হাতেই। এমন সময়ে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার সামিল ৫ রাজ্যের নির্বাচনের এই ভয়ানক ফল। তাই অস্বস্তি এড়াতে তড়িঘড়ি নিজের বাংলা সফর বাতিল করতে একপ্রকার বাধ্যই হলেন মোদী, এমনটাই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
যদিও এ প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছে গোটা গেরুয়া শিবির। তবে মুখে না স্বীকার করলেও রাজ্য বিজেপি নেতারা ভালো করেই জানেন যে, মোদীর এই সফর বাতিলের প্রভাব বেশ ভালমতোই পড়বে রাজ্য বিজেপির কর্মীদের উপর৷ চিড় ধরবে তাঁদের মনোবলে৷ এমনকি বিজেপি নেতাদের আশঙ্কা, এই ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলও ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে দলের আগামী কর্মসূচিগুলোতে।