পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফলে বিজেপির শোচনীয় হারের খবর আসতেই মোদী-শাহ জুটির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ৩ রাজ্যে ভরাডুবির জন্য নাম না করে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের দায়ী করেছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় কাকাড়ে। বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র আবার দাবি, ঠিক মতো প্রার্থী বাছাই না করতে পারাতেই হারতে হল বিজেপিকে। থেমে নেই শরিকেরাও। শিবসেনা হুঙ্কার ছেড়ে বলেছে, ঔদ্ধত্যের ফলেই হারতে হল বিজেপিকে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাকাড়ে বলেন, ‘রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ের ফল যে এমন হতে চলেছে তা জানতাম। তাই অবাক নই। দলের রণনীতি ঠিক ছিল না।’ তাঁর কথায়, ‘আমার মনে হয়, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি যে উন্নয়নের ইস্যু তুলে ধরেছিলেন, দল সম্ভবত সেগুলো ভুলে গেছে। দল এখন রামমন্দির, মূর্তিস্থাপন এবং শহরের নাম পরিবর্তনে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। এই জন্যই এই তিন রাজ্যে আমাদের হার হয়েছে।’ এখানেই শেষ নয়। বিজেপি সাংসদ আরও জানিয়েছেন, যোগী আদিত্যনাথের অবিবেচকের মতো মন্তব্য বন্ধ করার আবেদন জানাবেন তিনি দলের সভাপতিকে। কেন? তাঁর ব্যাখ্যা, এই নেতা উন্নয়নের পরিবর্তে রামমন্দির, হনুমানের জাত এবং শহরের নাম বদলানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। নির্বাচনী সভায় গিয়ে এইসব বলেছেন।’
পাঁচ রাজ্যে এভাবে হারতে হওয়ায় হতাশ কৈলাস বিজয়বর্গীয় ভুল প্রার্থী বাছাইকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঠিক জায়গায় যথাযথ প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও ভুল ছিল। তাই এই হার’। শিবসেনা অবশ্য এতটা নরম সুরে আক্রমণ শানায়নি। বিজেপির বিরুদ্ধে রীতিমতো তোপ দেগে শিবসেনা মুখপাত্র ও রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘ঔদ্ধত্যের ফলেই বিজেপির এই হার। মানুষের ক্ষোভ এই ফলাফলে প্রকাশ পেয়েছে। এটি একটি সাফ বার্তা। এবার এনিয়ে বিজেপির ভাবা উচিত’।