অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ভারতের দুই ইনিংসেই অনবদ্য ব্যাট করে নজর কেড়ে নিয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা। প্রথম ইনিংসে ১২৩ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ৭১ রানের ওপর ভর করে ম্যাচের রাশ অনেকটাই নিজেদের অনুকূলে নিয়েছিল বিরাট কোহলি ব্রিগেড।
ক্যারিয়ারে ১৬তম সেঞ্চুরি করেছেন পুজারা। অ্যাডিলেডে যখন অসি বোলাররা একের পর এক ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ওপর চড়াও হচ্ছিল, তখন একপ্রান্ত আগলে দাঁড়িয়ে থাকেন পুজারা। শুধু দাঁড়িয়ে থাকাই নয়, রানও করে গেছেন এবং ২৩১ বল খেলে ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পূজারা আউট জন ২৪৬ বলে ১২৩ রান করে। ১২৩ রান করার পথে অসাধারণ একটি মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলেছেন পুজারা। ৬৫তম টেস্টেই পেয়ে গেলেন ৫ হাজার রানের দেখা। এই মাইলফল ছুঁতে তার প্রয়োজন ছিল ৯৫ রানের। পুজারা করলেন ১২৩ রান। ভারতের হয়ে ১২তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি।
পুজারার ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মহলও। তাঁর প্রশংসায় মেতেছেন ইয়ান চ্যাপেলের মতো ব্যক্তিত্বও। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে তুলনা করে চ্যাপেল বলেছেন, টেস্টে ভারতের হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করার আদর্শ পুজারা। তিনি লিখেছেন, ‘টেস্টে তিন নম্বরে ব্যাটসম্যান বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে দু’ধরনের পছন্দ থাকে। এক ধরনের ব্যাটসম্যান থাকে, যারা পাল্টা আক্রমণে যায়, আগ্রাসী মানসিকতায় বিশ্বাসী, কিন্তু নতুন বলের মোকাবিলায় টেকনিকেও ঠিক থাকে। যথার্থ উদাহরণ হল রিকি পন্টিং। এরকম কাউকে না পাওয়া গেলে দেখতে হবে তেমন কাউকে, যার অসম্ভব ধৈর্য আছে, দেওয়ালের মতো জমাট রক্ষণ আছে, অন্য ব্যাটসম্যানদের সাফল্যের দিকে না তাকিয়ে নিঃস্বার্থভাবে খেলতে পারে। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের নাম করাই যায়। চেতেশ্বর পুজারাও একই ঘরানার।’ চ্যাপেলের আরও সংযোজন, ‘ধৈর্য, অধ্যাবসায়, কঠিন মানসিকতা দেখিয়েছে ও। এই গুণগুলো ওকে সাহায্য করেছে অস্ট্রেলিয়ান আক্রমণকে মোকাবিলা করার।’
তৃতীয় দিনেও অস্ট্রেলিয়ার কাজ অনেকটা কঠিন করে দিয়েছিলেন চেতেশ্বর পুজারা।