অবশেষে পার্কিং প্লাজা পাচ্ছে সৈকতনগরী। এখন দীঘায় পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে বছরভর। কিন্তু গাড়ি পার্কিং করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমস্যা দীর্ঘদিনের। তারই সমাধানে আধুনিক পার্কিং প্লাজা তৈরির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি নিউ দীঘায় স্টেশন লাগোয়া রাজ্য পর্যটন নিগমের হোটেল লারিকাকে তিনতারার পরিকাঠামোয় উন্নীত করার পরিকল্পনায় সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে এই কাজ শেষের সময়সীমাও নির্ধারণ করে দিয়েছেন তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফর সেরে দুপুরে দীঘা থেকে কলকাতা ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেরার পথেই দীঘাকে দিয়ে গেলেন এই জোড়া উপহার। তিনতারা হোটেল আর আধুনিক পার্কিং প্লাজা।
জানা গেছে, এই পার্কিং প্লাজা তৈরি করবে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। পার্কিং প্লাজার একাংশে থাকবে হকার জোন। পার্কিং প্লাজার ডিজাইন ও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার পরই পরবর্তী কাজ শুরু হবে। লারিকা হোটেল সংলগ্ন দুটি জায়গাও চিহ্নিতও করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দীঘার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পর্যটন বিকাশে গুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যার অন্যতম ছিল দীঘার জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে তীর্থক্ষেত্র গড়ে তোলা। দীঘা থেকে ফেরার পথে সেই মন্দির পরিদর্শন করেন মমতা। দ্রুত ডিজাইন ও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করারও নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো দ্রুত পরিকল্পনার নির্দেশ দেওয়ায় জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য দেবব্রত দাস বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্বপ্নের দীঘাকে আন্তর্জাতিকস্তরে তুলে ধরার জন্য সমস্ত কিছুকে নতুন করে গড়তে চাইছেন। সে কারণেই তিনতারা হোটেল এবং পার্কিং প্লাজা তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। দ্রুতই এই তিন পরিকল্পনা রূপায়ণ হবে’।