জঙ্গলমহলে শিল্পায়নের কথা মাথায় রেখে পুরুলিয়ার অদূরে ছররায় দ্রুত বিমানবন্দর তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়ায় জেলা সফরে এসে প্রশাসনিক বৈঠকে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পূর্ত দপ্তরকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বালুরঘাট, মালদায় বিমানবন্দর হবে। কোচবিহার, অন্ডালে হয়ে গেছে, পুরুলিয়ায় খুব তাড়াতাড়ি কাজ হবে। পুরুলিয়ার ছররায় যে পরিত্যক্ত বিমানবন্দর রয়েছে, সেখানেই বিমানবন্দর তৈরি করা হবে’।
সেই মতো বিমানবন্দর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ওই এলাকা পড়ে থাকায় পরিত্যক্ত বিমানবন্দরের সামনেই পুলিসের একটি ক্যাম্প ছাড়াও ওই বিমানবন্দরের জমির কিছুটা অংশ সরকারি কাজের জন্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য বিমানবন্দর তৈরির বিষয়ে চূড়ান্ত হওয়ার পর সমস্ত জমি ফের ফিরিয়ে নিয়ে বিমানবন্দর তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করেছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন।
পুরুলিয়া শহর থেকে সাত কিমি দূরে ছররা গ্রাম। এখানেই রয়েছে পরিত্যক্ত বিমানবন্দর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জ্বালানি ভরতে এই বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা করত। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিরক্ষা দপ্তরের হাতে থাকা জমি পরে রাজ্য সরকারের কাছে হস্তান্তরিত করা হয়। নানা কারণে এতদিন কাজ এগোয়নি। তবে এবার দ্রুত কাজ হবে বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ায় জেলাশাসক অলোকপ্রসাদ রায়। পুরুলিয়ার শিল্পপতিদের বিমান ধরতে গেলে হয় রাঁচি না হয় কলকাতায় যেতে হয়। এই জেলায় প্রচুর বিদেশি পর্যটকও আসেন। রাজ্যের একমাত্র সৈনিক স্কুলও পুরুলিয়াতেই। রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ-সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। তাই পুরুলিয়ায় বিমানবন্দরের দাবি দীর্ঘদিনের। এবার সেই চাহিদা পূরণ হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে।