‘আমার মুখে কথা বসাবেন না প্লিজ’। আর চুপ থাকতে না পেরে অবশেষে তাঁর বিজেপি-ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ছড়ানো গুজবের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ তথা টলিউড সুপারস্টার দীপক অধিকারী। যিনি জনমানসে দেব নামেই খ্যাত।
দিন সাতেক আগেই এক অনলাইন নিউজ পোর্টালে বেরানো এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয় তৃণমূলের সেলেব সাংসদ দেব নাকি মোদী-সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এমনকি সেই নিউজ পোর্টালটির দ্বারা ইচ্ছেমতো কিছু কথাও তাঁর মুখে বসিয়ে ভুঁয়ো খবর ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হয়। যা মানহানির সামিল।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ দেব নিজের ফেসুবক পেজে পোস্ট করে সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘আমার মুখে কথা বসাবেন না প্লিজ। ঘাটালে সাংসদ হিসাবে বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়ে আমি বলেছিলাম, আমাদের দেশের সংবিধান এতগুলো রাজনৈতিক দলকে স্বীকৃতি দিয়েছে, মানুষ তাঁদের ইচ্ছামত দল বেছে নিক, রাজনীতি করুক৷ যেন একে অন্যের শত্রু না হয়ে ওঠে৷ একথা মানুষের কথা, মানবতার কথা৷’
তবে এখানেই থেমে না থাকেননি তৃণমূলের সাংসদ-অভিনেতা। সমালোচকদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘হঠাৎ কেউ কেউ এর পেছনে রাজনীতির গন্ধ খুঁজতে বসলেন৷ আমি তাঁদেরকে বলবো, শীত আসছে কমলালেবু খান, চিড়িয়াখানা যান, সিনেমা দেখুন।’ একইসঙ্গে সেই নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত ভুঁয়ো খবরের লিঙ্কটিও নিজের ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে জুড়ে দেন তিনি।
বাংলার মা-মাটি-মানুষের স্বার্থে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন, অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিও চালিয়ে যাচ্ছেন, নিজের এলাকায় উন্নয়নের পথকে প্রশস্ত করছেন, তা যেন সহ্যই হচ্ছেনা এক শ্রেণীর মিডিয়ার। তাই তারা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ভাবেই দাবি করে বসছে ‘বিজেপির গুণ গাইছেন খোদ তৃণমূল সাংসদ দেব।’ কিন্তু তাতে যে মানুষ ভুল পথে চালিত করা যায় না, তা হয়ত জানা নেই ওই সকল মিডিয়া হাউসের।
তবে এইসব ভুঁয়ো খবর ছড়িয়ে যে এই শ্রেণীর মিডিয়া স্রেফ নিজেদের স্বার্থপূরণ করতে চাইছে, তা জানতে বাকি নেই রাজ্যবাসীর। ফলে এমন খবরেও বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি দেবের অনুরাগী থেকে শুরু করে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দারা। সকলকেই পাশে পেয়েছেন তৃণমূলের এই সাংসদ-অভিনেতা।