দিল্লীর বুকে কৃষক সমাবেশ শেষ হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কৃষি মন্ত্রকের কাছে সারা দেশের প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমার বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। তবে কি কৃষক আন্দোলনের জেরে নড়ে গেল মসনদ? না কি ভোটের দায়?
উত্তর যাই হোক না কেন, নয়াদিল্লিতে সদ্য সমাপ্ত কিষাণ মুক্তি মোর্চার প্রভাব যে সামান্য হলেও পড়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ওপরে তা অস্বীকার করতে পারবে না কেউই। তাই রাজধানীর বুকে কিষান সমাবেশ শেষ হওয়ার চার দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (পিএমও) তরফে বিশেষ নির্দেশ গিয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের কাছে। যেখানে সারা দেশের সব রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার অগ্রগতি ও সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে৷ কৃষি মন্ত্রককে বলা হয়েছে দু’সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট পেশ করতে৷
কয়েক দিন আগে দিল্লীতে কিষান মুক্তি মার্চ চলার সময়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কৃষকরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, তাদের ফসলের বিমার জন্য যে কেন্দ্রীয় প্রকল্প রয়েছে, কার্যত তাতে কোনও কাজই হয় না৷ ফসল নষ্ট হওয়ার পরেও বিমা সংস্থা থেকে যে কৃষকরা কোনও আর্থিক সহায়তাই পান না। সংবাদমাধ্যমে কৃষকদের অভিযোগ প্রচার পাওয়ার পরেই টনক নড়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের৷
প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার প্রয়োগের ক্ষেত্রে যে অনেক জায়গাতেই সমস্যা হচ্ছে, তা খোলাখুলিই জানাচ্ছেন নীতি আয়োগের জমি কমিটির সদস্য টি হক৷ তাঁর কথায়, ‘দেশের বেশ কিছু রাজ্যের কৃষকরা অভিযোগ করছেন যে, তাঁদের রাজ্যে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণ দিতে প্রচুর সময় নষ্ট করা হচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, যতটা ফসল নষ্ট হচ্ছে, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ সেই তুলনায় খুবই কম, এমন অভিযোগও আসছে৷
কৃষি মন্ত্রকের আধিকারিকরা বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রাথমিক রিপোর্ট সংগ্রহ করার চেষ্টা শুরু করেছেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার সমস্যার কথা থাকবে। পিএমও-র নির্দেশ পেয়ে নড়ে চড়ে বসেছে কৃষি ভবনও৷ তড়িঘড়ি প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার হাল হকিকত জানার জন্য৷ কিন্তু যে কাজ এতদিনে করা হয়নি, তা মাত্র দু’সপ্তাহে ত্রুটিহীন ভাবে কী ভাবে সম্ভব, তা নিয়েই রীতিমত প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে৷