নাগরিকপঞ্জী নিয়ে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূল। এনআরসি কোপে পড়া আসামবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে বারংবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তুলোধোনা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যে এ প্রসঙ্গে আসামবাসীর পাশেই আছেন তা প্রতিমুহূর্তেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। সেখানের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৯টি জেলায় প্রার্থীও দিয়েছে তৃণমূল।
এবার আসামের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই সব তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন ও বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলার শাহনওয়াজ আলি মণ্ডল (ডাম্পি) মঙ্গলবার শিলচরে বেশ কয়েকটি জনসভা করেন। ইতিমধ্যেই কামরূপে প্রচার করে এসেছেন শতাব্দী রায়, মমতাবালা ঠাকুর, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি, রুনা খাতুন।
আগামী ৫ ও ৯ ডিসেম্বর দু’দিন নির্বাচন রয়েছে আসামে। ৫ ডিসেম্বরের প্রচারের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। আর ৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনী প্রচার করতে যাবেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী গৌতম দেব ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
মঙ্গলবার শিলচরের জনসভায় এলাকার প্রার্থীদের উপস্থিতিতে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে তৃণমূলের নেতারা বলেন, ‘নাগরিকপঞ্জী নিয়ে আপনারা ভয় পাবেন না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের পাশে আছেন।’ নাগরিকপঞ্জীর জন্য তৃণমূল নেতারা বিজেপিকেই দায়ী করেন। সকলে মঞ্চ থেকেই আক্রমণ শানান বিজেপির বিরুদ্ধে।
শান্তনু সেন বলেন, ‘বিজেপিকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে হারাতেই হবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকপঞ্জী নিয়ে প্রথম প্রতিবাদ করেন। নোটবন্দির রাতেও তিনি কেন্দ্রের সমালোচনা করেছিলেন। বিজেপি আসলে প্রথম থেকেই ভাগাভাগির রাজনীতি করে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন যে, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা অনেক উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন। আপনারা কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করুন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আপনারাই জয়ী হবেন।’
বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেতারা বাংলার উন্নয়নের প্রসঙ্গও তোলেন। তাঁরা জানান, কেন্দ্রের অসহযোগিতা সত্ত্বেও কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার উন্নয়ন করে চলেছেন। তাই আসামেও এমন উন্নয়নের জোয়ার আনতে তাঁর হাত আরও শক্ত করতে হবে।
শিলচরের মঞ্চে প্রার্থীদের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। ওই জনসভায় ভিড়ও ছিল লক্ষ্য করার মতো। এ প্রসঙ্গে শান্তনু বলেন, ‘জনসভায় লোকসমাগম দেখে আমরা রীতিমতো অবাক হয়েছি। এত ভিড় হবে, আমরা তা কল্পনাও পারিনি। বহু মহিলাও এদিন এসেছিলেন। তাঁদের অনেকেই নেত্রীকে দেখতে চেয়েছেন।’