আসামের বাঙালি হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন একমাত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। সে নাগরিকপঞ্জী ইস্যুতে ৪০ লক্ষ বাঙালির মধ্যে ৩০ লক্ষ হিন্দুর নাম বাদ যাওয়া হোক কিংবা তিনসুকিয়ায় ৫ বাঙালি হিন্দুকে প্রাণে মারার ঘটনা। তাদের সাহায্য করতে, মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বাংলা তিনি থেকে পাঠান তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। আর কোনও রাজনৈতিক দল এভাবে আসামের বাঙালিদের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়নি। এরপর কোন মুখে বাংলা থেকে ভোট চায় বিজেপি?
নাগরিকপঞ্জীর জেরে আসামের তিনসুকিয়ায় ৫ বাঙালিকে গুলি করে খুনের ঘটনার দিন রাতেই টুইট করে শোকজ্ঞাপণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। দুদিনের মধ্যে রাজ্যসভার দলনেতা ও প্রধান সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল পাঠায় তিনসুকিয়ায়। তাঁরা নিহত ৫ বাঙালি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছিলেন, ‘ভয় নেই, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সবসময় আপনাদের পাশে আছেন’। স্বজন হারানো প্রতিটি বাঙালি পরিবারের হাতে ১লক্ষ টাকা করে অর্থসাহায্যও তুলে দেওয়া হয় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে।
এর আগেও নাগরিকপঞ্জী থেকে বাদ পড়া বাঙালি হিন্দু পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলতে আসামে এসেছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। কিন্তু অভিযোগ, সেই প্রিনিধিদলকে বিমানবন্দরেই আটকে দেয় আসামের বিজেপি সরকার। এমনকি পুলিশ দিয়ে পেটানোর অভিযোগও উঠেছিল।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হিন্দু হোক কিংবা মুসলমান, প্রত্যেক বাঙালির পাশে আছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা তার প্রমান পেয়েছে। আসাম সেই উদাহরণ দেখছে। কিন্তু মুসলমানদের প্রতি বিজেপির মনোভাব অজানা নয়। আর নাগরিকপঞ্জীর জেরে হিন্দুদের ওপর তাদের অত্যাচার গোটা দেশ দেখছে। এরপর বাঙালি হিন্দুদের থেকে ভোট চাওয়ার নৈতিক অধিকার বিজেপি হারিয়েছে।