মেয়র নির্বাচনের আগেই নৈতিক জয় হল তৃণমূলের। সমস্ত দিক বিচার-বিবেচনা করেই কলকাতা পুরসভার মেয়র নির্বাচনের ওপরে কোনও রকম অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, সংশোধিত পুর আইনকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুরসভার ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর। কিন্তু শুক্রবার দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি দেবাংশু বসাক কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেননি।
আবেদনকারী ওই কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে মামলার রায় ঘোষণার আগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়। তবে আদালত তা না দেওয়ায় আগামী সপ্তাহে মেয়র পদে তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনও বাধা থাকল না। এ প্রসঙ্গে কলকাতার ভাবী মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সিপিএম এখন বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। ওরা আসলে বিজেপিকে সুবিধে করে দিতেই আমাকে আটকাতে চাইছিল।’
মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, নতুন আইন সংবিধানের পরিপন্থী। যেখানে কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজ্য আইন করছে, সেখানে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাজ্য রাজ্যপালের অনুমোদন নিয়ে তা চালু করেছে।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এর বিরোধিতা করে জানান, পুরসভা রাজ্যের নিজস্ব বিষয়। এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় আইনের কোনও সম্পর্ক নেই। রাজ্য নতুন আইন আনতেই পারে, যদি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল তাতে অনুমোদন দেন। এই নতুন আইনে নির্বাচিত মেয়র জন প্রতিনিধি না হলে তাঁকে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনে জিতে আসতে হবে।
সোমবার কলকাতার মেয়র নির্বাচন হবে। তাই শুক্রবার তৃণমূল কাউন্সিলরদের জরুরি বৈঠক বসে। ১২২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে প্রায় সকলেই উপস্থিত ছিলেন। পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় জানান, ৩ ডিসেম্বর অধিবেশন কক্ষেই ভোট হবে। ৪টি বুথ থাকবে। ১টা থেকে আড়াইটে পর্যন্ত ভোট চলবে। ভোটের পর গণনা, শপথগ্রহণ। তাই কাউন্সিলরদের সময়মতো হাজির থাকতে বলা হয়েছে। সব কাউন্সিলরই উপস্থিত থাকবেন।