বাংলার ছাত্রছাত্রী ও যুবসমাজের মধ্যে ডিজিটাল মাধ্যম সম্পর্কে সচেতনতার প্রসার ঘটাতে এবং নব প্রজন্মকে আরও বেশি করে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় ব্রতী করে তুলতে এবার ক্যুইজ প্রতিযোগিতা ও ‘ডিজিটাল চ্যালেঞ্জ’ শুরু করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রেই বসবে ক্যুইজের আসর। তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের পরিচালনায় এই কর্মসূচির পোশাকি নাম ‘ডিজিটাল চ্যালেঞ্জ’। উল্লেখ্য, দলের পক্ষ থেকে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের দায়িত্বে রয়েছেন যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বনামধন্য ক্যুইজ মাস্টার তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা এবং প্রধান সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনের হাতেই এই অনুষ্ঠান পরিচালনার গোটা দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রাথমিক পর্বের বাছাই করবেন তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের যুগ্ম আহ্বায়ক দীপ্তাংশ চৌধুরী ও সুপর্ণ মৈত্র। চূড়ান্ত পর্বে ক্যুইজ মাস্টারের চেনা ভূমিকায় হাজির হচ্ছেন ডেরেক। রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার পর থেকেই ক্যুইজের আসর থেকে সরে গিয়েছিলেন ডেরেক। এদিন তিনি জানান, নেত্রীর নির্দেশেই ফের প্রায় এক দশক বাদে ক্যুইজ মাস্টারের ভূমিকায় ফিরলাম।
এই নতুন উদ্যোগ প্রসঙ্গে ডেরেক জানান, পুরো বিষয়টাই আমাদের দলনেত্রীর পরিকল্পনা। তিনি চাইছেন নতুন প্রজন্মকে তৃণমূলের ভাবধারা, উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আরও সজাগ করে তুলতে। তাই প্রশ্নাবলিও সাজানো হয়েছে সেই অনুসারে। জনসংযোগের চিরাচরিত মাধ্যমগুলির তুলনায় সোশ্যাল মিডিয়া নতুন প্রজন্মের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, সরকারি প্রকল্প, লোকসভা ও বিধানসভা, সমসাময়িক দুনিয়া, বাংলার সংস্কৃতি, এবং নেত্রীর সংগ্রামের ইতিহাস নিয়েই তৈরি হচ্ছে ক্যুইজের প্রশ্নাবলি।
এর পাশাপাশি ডেরেক জানান, প্রতি লোকসভায় অন্তত একটি করে এমন ক্যুইজের আসর বসবে। এরপর পাইলট প্রজেক্টের রিপোর্ট দেখে নেত্রী অনুমোদন দিলেই লোকসভা ভোটের আগে প্রায় পঞ্চাশটি ক্যুইজ প্রতিযোগিতা করতে পারেন তিনি।
বাংলার সমসাময়িক রাজনীতি, সরকারি প্রকল্প, নেত্রীর জীবনচর্চার পাশাপাশি খেলা ও সাংস্কৃতিক বিষয়েও সাধারণ জ্ঞানের বহুমুখী প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। ক্যুইজ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার হিসেবে দিল্লি ভ্রমণের সুযোগ পর্যন্ত রয়েছে। আজ, শনিবার বারুইপুরে পাইলট প্রজেক্ট-এর দ্বিতীয় কর্মসূচি হবে।
জানা গেছে, প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দুই সদস্যের এক বা একাধিক টিম প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। মোট ৬১টি স্কুল ও কলেজ থেকে বারাসতে মোট ২০৬টি টিম অংশ নেবে এই ডিজিটাল চ্যালেঞ্জে। মিডিয়া সেল সূত্রে খবর, আজ বারুইপুরে ১৫টি কলেজ ও ২১৬টি স্কুল মিলিয়ে মোট ২১৬টি টিম যোগ দিতে পারে।