বছর শেষে ইন্দ্রপতন নাট্যজগত এবং টলিপাড়ায়। আজ ভোরে প্রয়াত হলেন অভিনেতা এবং নাট্যকার বিপ্লবকেতন চক্রবর্তী। তাঁর প্রয়াণে একটি যুগের সমাপ্তি ঘটলো।
দীর্ঘ দিন ধরেই বয়সজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন বিপ্লবকেতন। তাঁর ডিসলেক্সিয়ার চিকিৎসাও চলছিল। লিভারের সমস্যার জন্য বেশ কিছুদিন ভর্তি ছিলেন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে, শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। আজ ভোর রাতে সেখানেই জীবনাবসান ঘটে তাঁর।
টেলিভিশন বা চলচ্চিত্রের পর্দায় দেখা গেলেও মূলত নাট্যজগতের মানুষ ছিলেন বিপ্লবকেতন। ১৯৭২ থেকে ’৯২ পর্যন্ত ‘চেতনা’ নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। এর পরের বছর চেতনা থেকে বেরিয়ে নিজেরই নাট্যদল গড়েন। ‘থিয়েটারওয়ালা’ নামে সে দলেরও একাধিক জনপ্রিয় প্রযোজনা দর্শকদের স্মৃতিতে অমলিন।
‘চেতনা’ নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু। ‘মারিচ সংবাদ’ নাটকে তাঁর অভিনয় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলা থিয়েটারের ইতিহাসে। ‘বাঘু মান্না’ তাঁর পরিচালনায় একটি বিখ্যাত নাটক। তাঁর তিন কন্যা সুদীপ্তা, বিদীপ্তা ও বিদিশা চক্রবর্তী অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনজনেরই অভিনয়ে হাতেখড়ি বিপ্লববাবুর কাছেই। শুধু মঞ্চ নয়, টেলিভিশনেও তাঁর বহু অবদান রয়েছে।
বর্ষীয়ান এই অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ঢল নেমেছে নাটকের জগত এবং টলিউডে। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই আসবেন বলে জানা গেছে। তাঁর মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হল নাট্যজগতের।