বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বসতে চলেছে ওয়াচটাওয়ার। জঙ্গলমহল সফরে এসে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘোষণায় খুশি এলাকাবাসী। সীমান্ত এলাকাগুলিতেও খুশির হাওয়া। কিন্তু বেজায় চটেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
স্থানীয় মানুষের দাবি, বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত দিয়ে অবাধে রাজ্যে ঢোকে গুন্ডার দল। আসে অস্ত্র। সীমান্ত লাগোয়া জেলার মানুষেরাও এই বহিরাগত গুন্ডাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। অভিযোগ, এখানকার ছোটখাটো অশান্তিতেও শোনা যায় হিন্দি স্লোগান যা বাংলার মাটিতে কিছুটা অস্বাভাবিকই বটে। এমনকি স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী রানীগঞ্জ ও আসানসোল দাঙ্গায় ঝাড়খণ্ড থেকেই এসেছিল দাঙ্গাবাজরা। লুটপাট করে তারা ঝাড়খণ্ডেই চলে গেছিল। এর ফলে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে।
এই অপরাধ ঠেকাতেই বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় বাড়ানো হয়েছে টহলদারি। এবার বসানো হতে চলেছে ওয়াচটাওয়ার। মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় সাধারণ মানুষ খুশি হলেও দিলীপ ঘোষের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তাঁর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী কেন দুই রাজ্যের মধ্যে মানুষের অবাধ যাতায়াত আটকাতে চাইছেন? ঝাড়খন্ডকে ওনার এত ভয় কিসের?’ অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে বেআইনি বা অনৈতিক কিছু দেখছে না রাজনৈতিক মহল ও আইন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, আইনশৃঙ্খলা রাজ্য সরকারের অধীনে এবং তা রক্ষার জন্য যেকোনো পদক্ষেপ রাজ্য নিতেই পারে।
অভিযোগ, রাজনৈতিক সুবিধা পেতেই বিজেপি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় ক্রমাগত গুন্ডাদের ঢোকাচ্ছে অশান্তি পাকাতে। ওয়াচটাওয়ার বসলে তাই অসুবিধা হবে বিজেপির। তাই চিন্তার ভাঁজ দিলীপ ঘোষদের কপালে।