এবার খোদ সরকারি কর্মীরাই আঙুল তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে। ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল)- এর কর্মী সংগঠনের অভিযোগ, আম্বানির জিওকে সুবিধে পাইয়ে দিয়েছেন মোদী। যে কারণে ৩ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে বসছেন বিএসএনএলের কর্মীরা। এবং এর জেরে থমকে যেতে পারে বিএসএনএল পরিষেবা।
সংস্থার কর্মী সংগঠনের অভিযোগ, সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিএসএনএলকে ফোরজি স্পেকট্রাম দিতে চাইছে না। আসলে রিলায়েন্সের জিও ইনফোকমকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এটা করা হচ্ছে। কারণ বিএসএলএন ফোরজি নেটওয়ার্ক বাজারে আনলে জিও টিকতে পারবে না। পরিষেবার গুণগত মান যা হবে তা ছাপিয়ে যাবে জিওকেও। ফলে গ্রাহক ধরে রাখতে পারবে না আম্বানির সংস্থা। সে কারণেই ঘরের ফেলে পরের ভাল করতে সরকার বিএসএনএলকে ফোরজি স্পেকট্রাম দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে মোদী সরকার। রীতিমতো বিবৃতি জারি করে এমন অভিযোগ করেছে বিএসএনএলের কর্মী সংগঠন।
প্রসঙ্গত, বাজারে এখন জিওকে টেক্কা দেওয়ার মত কোনও টেলিকম সংস্থা নেই। কিন্তু বিএসএনএল ফোরজি পরিষেবা আনলে জিও বাজার ধরে রাখতে পারত না, বিএসএনএলের কর্মীদের পাশাপাশি এমন মত বিশেষজ্ঞদেরও। আম্বানিদের সুবিধে পাইয়ে দিয়েছেন মোদী, বিরোধীদের তরফে এ অভিযোগ আগেও বহুবার উঠেছে। এমনকি রাফাল কান্ডের জেরে মোদীকে আম্বানির চৌকিদারও বলেছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বারংবার তুলোধোনা করেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
কিন্তু এই প্রথম কেন্দ্রের অন্দর থেকেই উঠল ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর অভিযোগ। এবার সরকারি কোনও সংস্থার কর্মীরাই প্রকাশ্যে এই অভিযোগ আনলেন। ফলে ভোটের মুখে আবারও অভিযোগের তিরে বিদ্ধ মোদী। যা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এক বিতর্ক।