ফাঁড়া যেন কাটছেই না কেন্দ্রের। প্রতিনিয়তই একের পর এক ইস্যুতে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে মোদী অ্যান্ড কোম্পানিকে। তাঁকে ছুটিতে পাঠিয়ে আইন ভেঙেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই দাবি করে আবারও সরকারের ওপর তুলে দিলেন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মা।
বর্মার আইনজীবী ফলি এস নরিম্যান যাবতীয় তথ্য পেশ করে আদালতে দাবি করেন, সিবিআইয়ের ডিরেক্টর হিসেবে অলোক ভার্মার কার্যকাল দু’বছর হওয়া উচিত ছিল। আর এই সময়ের মধ্যে তাঁকে স্থানান্তরও করতে পারে না কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কার্যকাল শেষ হওয়ার আগেই তাঁর মক্কেলকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এটা আদালত অবমাননার মধ্যেও পড়ে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিনীত নারেইন তাঁর রায়ে সিবিআই ডিরেক্টরের কার্যকাল দু’বছর স্থির করে দিয়েছিলেন। তার আগে অবশ্য সিবিআই ডিরেক্টরের কার্যকাল বলে কিছু ছিল না।
দুই দশক আগের সেই রায় তুলে ধরে সিনিয়র আইনজীবী ফলি এস নরিম্যান বলেন, এখানে সম্পূর্ণভাবে বিনীত নারেইনের রায় লঙ্ঘন করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অলোক বর্মাকে সিবিআই ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু দু’বছর না হতেই বর্মাকে তাঁর কতর্ব্য এবং ক্ষমতা থেকে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিনীত নারেইন সিবিআই অধিকর্তাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করার সম্মতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার তদন্তকারী সংস্থার কাজকর্মে অযথা হস্তক্ষেপ করছে। এটা শুধু একবার নয়, বারবারই হয়েছে।
এরপর শীর্ষ আদালতের সামনে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল কেন্দ্রের হয়ে সাফাই গাইতে শুরু করে দেন। যা শীঘ্রই বাদানুবাদের রূপ নেয়। তখন দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস কে কাউল এবং কে এম জোশেফের বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, শুনানির সময় তাঁরা কোনওরকম বাদানুবাদ চান না। ফলে সেদিনের মতো মামলা স্থগিত হয়ে যায়। আগামী ৫ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হয়েছে।