‘বাংলায় গতবার বিজেপি দু’টো লোকসভা আসন জিতেছিল৷ এবার একটিও পাবে না৷ বিজেপির রেজাল্ট হবে শূন্য’। বুধবার পুরুলিয়ার বলরামপুরের সভা থেকে এভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবেশী রাজ্যে গেরুয়া শিবিরকে দুর্বল করার পাশাপাশি বাংলাতেও বিজেপিকে নিশ্চিহ্ন করার ডাক দেন মমতা৷
এদিন সভার শুরু থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান মমতা। রথযাত্রা কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমরা জগন্নাথের রথ দেখেছি। শ্রীকৃষ্ণের রথ দেখেছি। বিজেপির রথ দেখেছেন? বিজেপির রথকে ‘রাবনের রথ’ বলে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, বড়বড় বিলাসবহুল গাড়ি। ভিতরে যার কনকনে ঠান্ডা। ফাইভ স্টার হোটেল। সেখান থেকে নেতারা মাঝে মাঝে বেরোবেন। আর ভাষণ দিয়ে দাঙ্গা বাধাবেন। রাবন যাত্রা করবেন’। পুরুলিয়ার দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিজেপির কাজ এরাজ্যে লোক ঢুকিয়ে রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করা৷ এটা চলতে দেওয়া যায় না’। বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানায় তৃণমূল কর্মীদের আরও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন৷ বলেন, ‘রাজ্যের বাইরে ঝাড়খণ্ডে গিয়ে কাজ করতে হবে৷ সংগঠন বাড়াতে হবে৷ লোকসভায় ওই রাজ্যে লড়াই করার জন্য প্রার্থী দেবে তৃণমূল’৷
আজকের সভা থেকে পুরুলিয়ার উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘এক সময় এই জেলায় রাস্তাঘাট দিয়ে হাঁটাচলা করা যেত না, বিকেলের পর রাস্তায় কেউ বেরোতো না, দোকান গাড়ি সব বন্ধ হয়ে যেত, সারাক্ষণ মানুষ ভয়ে থাকত। আজ এই অযোধ্যা পাহাড়ে মানুষ ঘুরতে আসে, ওখানে আমাদের সরকার ট্যুরিজম সেন্টার তৈরি করে দিয়েছে এই ৭ বছরে যা ওরা ৬৬ বছরে করতে পারেনি। আইটিআই, পলিটেকনিক কলেজ, মানভূম আকাদেমি, কুর্মি আকাদেমি, লোকশিল্পীদের সাহায্য করেছে আমাদের সরকার’।
আজকে পুরুলিয়ায় বলরামপুরের এই সভা থেকে ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতিও শুরু করে দিলেন মমতা। ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে তৃণমূলের জনসভায় হাজির থাকার জন্য দেশের ২০টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা রাজি হয়েছেন বলে জানান তিনি।