২০০৬ সালে পুলিশের সঙ্গে ভুয়ো সঙ্ঘর্ষে নিহত তুলসীরাম প্রজাপতি মামলায় মূল ষড়যন্ত্রকারী বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন এই মামলার প্রধান তদন্তকারী অফিসার সন্দীপ তামগাদে। গোটা ঘটনায় নতুন করে মুখ পুড়ল মোদী সরকারের।
সিবিআই আদালতে সন্দীপ বলেন, ‘সত্যিই প্রজাপতিকে খুন করা হয়েছিল। এই খুনে প্রধান ষড়যন্ত্রী ছিলেন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন আইপিএস অফিসার ডি জি বানজারা, দীনেশ এম এন এবং রাজকুমার পান্ডিয়ানও।’
কেন এই খুন? সন্দীপ জানিয়েছেন, অমিত শাহ এবং গুলাবচাঁদ কাটারিয়া এক অপরাধী-পুলিশ-রাজনীতিক চক্রের অন্যতম সদস্য ছিলেন। সোহরাবুদ্দিন, তার ঘনিষ্ঠ আজম খান এবং আরও কয়েকজন অপরাধীও এই চক্রে যুক্ত ছিল। এরা পুলিশ ও রাজনীতিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তোলাবাজির চক্র চালাত। একসময় তারা চক্রের সদস্যদের সঙ্গেই শত্রুতা করতে থাকে। ২০০৫ সালের ২৩ নভেম্বর তাদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত হয়।
সিবিআই তদন্তে জানতে পেরেছে, প্রজাপতি, সোহরাবুদ্দিন ও সোহরাবুদ্দিনের স্ত্রী কৌসর বাই একসঙ্গে বাসে চড়ে আসছিলেন। এমন সময় পুলিশ সোহরাবুদ্দিন ও কৌসর বাইকে অপহরণ করে। পরের দিন সোহরাবুদ্দিন খুন হন। কৌসর বাইয়ের দেহ পাওয়া যায়নি। প্রজাপতিকে গ্রেফতার করে উদয়পুর জেলে পাঠানো হয়েছিল। তাঁকে সঙ্ঘর্ষের নামে ২০০৬ সালে খুন করা হয়।
প্রসঙ্গত, অমিত শাহের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ নতুন নয়। সোহরাবুদ্দিন শেখের ভুয়ো হত্যা মামলাতেও অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন অমিত শাহ। সোরাবুদ্দিন মামলার বিচারপতি লোয়েরা রহস্যজনক মৃত্যুর পর নতুন বিচারপতি বেকসুর খালাস দেন তাঁকে।