আপাতদৃষ্টিতে এক মেয়ের গল্প। তবে তিনি যে সে মেয়ে নয় বা তাঁর গল্পটিও আর পাঁচটা মেয়ের মতো নয়। কারণ বছরের পর বছর ধরে এই মেয়ে পরম যত্নে আগলে রেখেছেন তাঁর পিতার স্বপ্ন। পরিবারের সকলকে হারিয়ে দিনের পর দিন এক ভীষণ কষ্টের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁর সেই কষ্টকে হার মানানোর গল্পই হল ‘হাসিনা: এ ডটার’স টেল’। আর সেই মেয়ে হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর জীবন নিয়েই তৈরি হয়েছে এই তথ্যচিত্র। যা শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে সে দেশের ৪ প্রেক্ষাগৃহে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সে এই তথ্যচিত্রের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)–এর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস বলেন, ‘আমরা মূলত প্রকাশনার কাজ করে থাকি। ভাবছিলাম তরুণদের জন্য তথ্যমূলক বা আর্কাইভের কোনও কাজ করতে পারি কিনা। বাংলাদেশের উন্নয়নের জায়গা ও ইতিহাসের জায়গা থেকে শুরু করে, স্বাধীনতার জায়গা নিয়ে আমরা মুজিব গ্রাফিক নভেলের কাজ করেছি। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখছি বাংলাদেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিতে। তাঁর যে উন্নয়নের রাজনীতি সেই সম্পর্কে আমরা একটি ধারণায় পৌঁছেছি।’
এই তথ্যচিত্রের বিপণনের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ গাওসুল আলম শাওন বলেন, ‘এটি একটি ডকু–ফিকশন। শুক্রবার মুক্তি পেল ৪টি প্রেক্ষাগৃহে। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে, ব্লক ব্লাস্টার, মধুমিতা এবং চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তৈরি। এটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখানো নয়, ইতিহাসকে ধারণ করে রাখার একটা প্রচেষ্টা।’
রেজাউর রহমান পিপলু পরিচালিত ‘হাসিনা: এ ডটার’স টেল’ তথ্যচিত্রটি সিআরআই ও অ্যাপেল বক্স, এই দুই প্রযোজনা সংস্থার প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে। পিপলু জানিয়েছেন, তিনি এই তথ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার বয়ানে তাঁদের পরিবারের নানা দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।