দুর্গাপুজো-কালীপুজো শেষ হওয়ার পর রাজ্যে শীত এসে যাওয়ারই কথা। তবে শরৎ যাওয়ার পরও এখনও বাতাসে সেই হালকা হিমের পরশই। আসল শীত বলতে যে হাড়কাঁপানো শীত বোঝায়, তা আসতে এখনও বেশ দেরি আছে। এমনটাই বলছেন আবহাওয়াবিদরা।
ইদানীং ভোর ও বিকেলের পর হালকা শীতের অনুভূতি পাওয়া যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বেলা বাড়লেই বাইরে বের হলে চড়া রোদে অস্বস্তি লাগছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি আরও কিছুদিন থাকবে। দিনের বেলায় গরম পোশাক পরার মতো সময় আসতে এখনও দেরি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রির নীচে চলে এলে শীত পড়েছে বলে ধরা যায়। কিন্তু ডিসেম্বরের আগে এর সম্ভাবনা কম। অনেক সময় নভেম্বরের শেষ লগ্নে ব্যতিক্রমীভাবে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির আশপাশে চলে আসে। কলকাতায় এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯-২০ ডিগ্রি আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০-৩১ ডিগ্রির আশেপাশে থাকছে।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে শীতের তীব্রতা নির্ভর করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার উপর। ওই ঝঞ্ঝার প্রভাবে তুষারপাত হয় কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশে। তারপর ওইদিক থেকে আসা কনকনে ঠান্ডা উত্তুরে হাওয়া বাংলার তাপমাত্রা কমায়। ইতিমধ্যে একদফা তুষারপাত হয়েছে কাশ্মীরে। তার প্রভাবে তাপমাত্রাও কিছুটা কমেছে। শীত যত এগবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তত সক্রিয় হবে। আর তার প্রভাব পড়বে এখানে।
অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’ এ রাজ্যে বিশেষ প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গোপসাগরের উপর থেকে ভাসা মেঘ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে আসলেও, তা থেকে বৃষ্টি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সে কারণে সূর্যের আলো আসতে কিছুটা বাধা পাওয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। কিন্তু সর্বনিম্ন তাপমাত্রার উপর তা কোনও প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।