যে সব রাজনৈতিক দল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র বিরোধিতা করছেন, তাদের নিয়ে প্রথম বৈঠকটি হবে ২২ নভেম্বর, নয়াদিল্লিতে। সেখানেই যুক্ত ফ্রন্ট গঠন নিয়ে আলোচনা করা হবে ২০১৯-এর নির্বাচনকে সামনে রেখে। চন্দ্রবাবু চাইছেন, ওই বৈঠকে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি নয়, উপস্থিত থাকুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।
জানা গেছে, মমতার পরামর্শেই ২২ তারিখের এই বৈঠকের আয়োজন। তার আগে মমতার সঙ্গে মুখোমুখি বসে তিনি আলাদা করে কথা বলে নিতে চাইছেন তিনি। সেই জন্যই আগামী ১৯ অথবা ২০ তারিখ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন চন্দ্রবাবু।
বিরোধী জেটের সম্ভাব্য দলগুলির মধ্যে একমাত্র মমতাই সাংগঠনিক আত্মনির্ভরতার নিরিখে বাকিদের থেকে অনেক এগিয়ে। এই অবস্থায় জোটের মধ্যমণি হিসেবে মমতার অনিবার্যতা প্রতিষ্ঠিত। তৃণমূলের এক নেতার মতে, একদা লোকসভায় সদস্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শরিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধারে মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের সভানেত্রীও। তাই দিল্লির বৈঠক কিংবা ১৯ জানুয়ারির বিগ্রেড সমাবেশ, সর্বত্রই জোটের প্রধান কারিগর মমতাকে ঘিরেই অ-বিজেপি দলগুলি ঘুঁটি সাজাচ্ছে।
মমতার পরামর্শ মতো তাই জোরকদমে জোট সমীকরণকে বাস্তব রূপ দিতে নেমে পড়েছেন চন্দ্রবাবু। শারদ পাওয়ার, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, ফারুক আবদুল্লা, দেবেগৌড়ার পাশাপাশি পুরনো শত্রুতা শিকেয় তুলে কংগ্রেস সুপ্রিমো রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। অশোক গেহলটের সঙ্গে জোট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা সেরেছেন। দেখা করেছেন ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গেও। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি বা প্রয়াত জয়ললিতার দল এআইএডিএমকে নিজেদের অবস্থান বদলালে তাদের সঙ্গেও তিনি দেখা করতে প্রস্তত বলে জানিয়েছেন চন্দ্রবাবু-ঘনিষ্ঠ টিডিপি’র এক প্রাক্তন এমপি। তিনিই জানান, দিল্লির বৈঠকে দিদিকে হাজির করতেই কলকাতা যাবেন চন্দ্রবাবু।