কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাইলে কর। কিন্তু তাহলে ‘বামফ্রন্টের’ নাম ব্যবহার কোর না। এভাবেই বড় শরিক সিপিএমের কংগ্রেস প্রীতির বিরুদ্ধে সরব হলেন আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লকের মতো বামেদের ছোট শরিকেরা।
ইতিমধ্যেই সিপিএমের তরফে রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তবে সেটা শর্তসাপেক্ষে। ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনে যেখানে বামপ্রার্থী নেই সেখানেই তিনি বামপন্থী ভোটারদের উদ্দেশ্যে ওই আবেদন রেখেছেন। কিন্তু তার আগেই চাউর হয়ে গিয়েছে আগামী লোকসভা ভোটে কংগ্রেস-সিপিএম নির্বাচনী সমঝোতা হতেই পারে। যে মতের সঙ্গে সম্পূর্ণ দ্বিমত আরএসপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক।
ফ্রন্টের অন্দরে এই নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন আরএসপি এবং ফব নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জোর করে তাদের ওপর বামফ্রন্ট–কংগ্রেস জোট চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনী সমঝোতার অজুহাতে সেই সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি তারা আর চায় না। এতেই সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন আলিমুদ্দিনের কর্তাব্যক্তিরা।
গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো আগামী ডিসেম্বরেই বৈঠকে বসছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। তখন ওই দুই শরিকের পার্টি কংগ্রেস। ফলে চলতি বছরের মধ্যেই কংগ্রেসের হাত ধরা নিয়ে বামফ্রন্টের মনোভাব স্পষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা প্রকট। একইসঙ্গে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সিপিএমের প্রস্তাবিত ব্রিগেড সমাবেশে ক্ষুব্ধ শরিক দলের অংশগ্রহণেও তার প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই শরিকদের চাপের কাছে বড় শরিক সিপিএমের কংগ্রেস প্রীতি কতটা বজায় থাকে এখন সেটাই দেখার।