এবার সিভিসি অর্থাৎ সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের মুখোমুখি হলেন নির্বাসিত সিবিআই অধিকর্তা অলোক ভার্মা। ঘণ্টা দুয়েকের ব্যবধানে বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনারের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে সাক্ষাৎ করলেন সিবিআইয়ের পরস্পর বিবদমান দুই শীর্ষ কর্তা, ডিরেক্টর অলোক ভার্মা ও স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা৷
সূত্রের খবর, দুজনেই সিভিসির সামনে নিজেদের অনড় অবস্থান বজায় রেখেছেন৷ একে অপরের বিরুদ্ধে কোন অবস্থায় তোপ দেগেছেন, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিয়েছেন দুজনেই৷ এ দিন প্রায় এক ঘণ্টা সিভিসির দপ্তরে ছিলেন অলোক ভার্মা৷ এত দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর সঙ্গে সিভিসির কী আলোচনা হল, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা৷
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, দুই সিবিআই কর্তাই এর আগে লিখিত ভাবে তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছিলেন সিভিসির কাছে৷ তারপরেও তাঁদের মুখোমুখি জেরার জন্য ডেকে পাঠান সিভিসি৷ এই অবস্থায় শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ১২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে সিভিসির তরফে কী তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়, সেদিকেই সবার নজর৷
শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-র নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে চলা তদন্তে সিভিসির পদক্ষেপকে পর্যবেক্ষণ করছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ কে পট্টনায়ক৷
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে সিভিসির দফতরে যান আস্থানা৷ সেখানে তিনি ভার্মার বিরুদ্ধে নথি ও দলিল জমা দেন৷ তার পরে দুপুর একটা নাগাদ সিভিসির সামনে উপস্থিত হন ভার্মা৷ সেই সময় সিভিসি কে বি চৌধুরীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভিজিল্যান্স কমিশনার শরদ কুমারও৷ ছিলেন টি এম ভাসিনও।
সূত্র জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে রাকেশ আস্থানার করা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করেন ভার্মা৷ নিজের যুক্তির স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে বেশ কয়েকটি নথি ও দলিলও তিনি সিভিসির কাছে জমা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর৷ আস্থানার বিরুদ্ধে চলা তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো প্রাথমিক তথ্য হাতে আসার পরেই তিনি সিবিআই স্পেশাল ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন বলে সিভিসিকে জানান প্রাক্তন সিবিআই প্রধান৷
বিরোধীদের অভিযোগ রাফায়েল দুর্নীতি ঢাকতেই ভার্মাকে সরানো হয়েছে। রাকেশ আস্থানা বিজেপি ঘনিষ্ট, তাই তাঁকে বাঁচাতে তৎপর কেন্দ্র। ফলে তদন্ত রিপোর্ট কোর্টে পেশ হলেই রাজনৈতিক উত্তাপ যে বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।