টানা দু’দিনের যমে-মানুষের লড়াইয়ের পর মারাই গেলেন পুরুলিয়ার পুঞ্চার গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী পিন্টু সিনহা। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় আজ শনিবার পুরুলিয়ায় ধিক্কার কর্মসূচির আয়োজন করেছে তৃণমূল৷ এই কর্মসূচীর নেতৃত্ব দিতে কলকাতা থেকে পুরুলিয়া আসছেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি এবং জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
রাতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতারা নিহতের বাড়ি গিয়ে পরিবারের লোকেদের সমবেদনা জানান। শুক্রবার রাতে মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছলে জেলার তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা মোমবাতি নিয়ে শোক মিছিল করেন। জেলা সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জি বলেন, ‘দলীয় কর্মীর মৃত্যু সংবাদ শুনে আজ শনিবার ওই তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে আসছেন যুব তৃণমূলের সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, তিনি পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলবেন। তারপর অংশ নেবেন ধিক্কার কর্মসূচীতে।
তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ কী কারণে খুন, এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক যোগাযোগও আছে কি না, তা জানতে ধৃতদের জেরা শুরু করেছে পুলিশ৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে কালীপুজোর পর নিজের বাড়িতেই মাংস কাটছিলেন পিন্টু৷ আচমকাই বাড়িতে ঢুকে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী৷ পিন্টুকে লক্ষ্য করে পিছন থেকে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় তারা৷ ওই তৃণমূল কর্মীর কোমরে গুলি লাগে৷ ঘটনার পর দুষ্কৃতীদের পিছনে ধাওয়া করেছিলেন পরিবারের লোকেরা৷ কিন্তু, তাদের নাগাল পাওয়া যায়নি৷ গুরুতর আহত অবস্থায় পিন্টু সিং-কে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো হাসপাতালে৷ শারীরিক অবস্থায় অবনতি হওয়ার তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়৷ টানা দু’দিন চিকিৎসা চলার পর বৃহস্পতিবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর৷