আজ সোমবার দক্ষিণেশ্বরের রানি রাসমণি স্কাইওয়াকের পথ চলা শুরু। বিকেল ৫ টার সময় ইস্পাত নির্মিত স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন পুর ও নগরোন্নোয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সৌগত রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রমুখ।
দক্ষিণেশ্বরে তাই আজ সকাল থেকেই সাজো সাজো রব। স্কাইওয়াকের নীচে রাস্তার দুদিকে এখন চলছে তুলির শেষ টান। চলছে রাস্তার নামে ফলক বসানোর কাজ। প্রকল্পের ভিতরে লাগানো হয়েছে বাহারি গাছ।
নির্মানকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, নির্মিত স্কাইওয়াক ৩৮০ মিটার লম্বা এবং ১০ মিটার চওড়া। মাঝে দু’দিকে মুখ করে ব্যবসায়ীদের দোকান।লটারি হয়ে গেছে। ১২৭ জন ব্যবসায়ীকে মন্দিরের নম্বর দেওয়া হয়েছে। চুক্তির পর তাঁদের হাতে দোকানের চাবি তুলে দেওয়া হবে। মন্দিরের দিকে ওঠার সময় দর্শনার্থীদের বসার জন্য বাহারি চেয়ার। স্কাইওয়াক জুড়ে উচু মানের সাউন্ড সিস্টেম। সেখানে সর্বক্ষণ বাজবে শ্যামাসঙ্গীত। বসানো হয়েছে ৪ টি লিফট। মন্দিরের দিকে ২ টি, স্টেশনের সামনে ১টি এবং বালি রোডের দিকে ১টি। আছে ১৪ টি এস্ক্যালেটর। স্টেশনের দিকে চওড়া সিঁড়ি। মন্দিরের দিকে ২ টি সিঁড়ি ছাড়াও স্কাইওয়াকের মাঝে এবং রেল কলোনির কাছে বসানো হয়েছে আরও ২ টি সিঁড়ি।
প্রকল্প এলাকার চারদিকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন দর্শনার্থীরা আগের মতোই ঘুরে গেলেও উদ্বোধনের পর স্কাইওয়াক খুলে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের জন্য। তখন স্টেশন এবং বাসস্ট্যান্ড থেকে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যাবে ভবতারিণীর মন্দিরে।
প্রকল্প এলাকার রাস্তাটি ম্যাস্টিক। দুধারে রেলিং। তার দুপাশে চওড়া জায়গা সুন্দরভাবে সাজানো। ঠিক হয়েছে, রানি রাসমনি রোড দিয়ে শুধু চারচাকা চলাচল করবে। দুচাকা, সাইকেল, রিকশা সবই দুপাশের রাস্তায়। গোটা এলাকা সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। সঙ্গে প্ররযাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। ৩ বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী এসে এখানে শিলান্যাস করে গিয়েছিলেন। সেখানেই বাধা হয়েছে বড় মঞ্চ। আজকের অনুষ্ঠানে এখান থেকেই স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।