রাফাল কেলেঙ্কারি এবং সিবিআইয়ের নজিরবিহীন অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মতো চলতি হাতেগরম ইস্যুতে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনে নামতে আপত্তি নেই সিপিএমের। সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানালেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোট এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হাত ধরার জন্য আকুল আহ্বান জানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। কিন্তু বিজেপি বিরোধী ইস্যুতে একসঙ্গে আন্দোলনে নামার ব্যাপারে আগে কংগেসের সায় চাইছে বামেরা। চাইছে আন্দোলনে নামার জন্য আগে কংগ্রেস প্রস্তাব দিক বামেদের। ঘটনা দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সুবিধাবাদী পন্থা নিতে চাইছে বামেরা।
এর কারণ হিসাবে ওয়াকিবহাল মহল মতে, রাফাল এবং সিবিআই ইস্যুতে সম্প্রতি দিল্লিতে রাহুল গান্ধী তড়িঘড়ি একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন। সেই কর্মসূচিতে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকেও প্রতিনিধি পাঠানোর অনুরোধ জানায় কংগ্রেস। কিন্তু রাজধানীতে সেদিন সিপিআইয়ের ডি রাজা এবং তৃণমূলের এমপি নাদিমুল হক ছাড়া আর কোনও বিরোধী দলের প্রতিনিধিকে রাহুলের পাশে দেখা যায়নি। তাঁদের প্রশ্ন, সেই সময় সুজনবাবুরা কোথায় ছিলেন? এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বও।
সাংবাদিক সম্মেলনে সুজন বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামো সংক্রান্ত সাম্প্রতিক আন্দোলনেও আমরা এক মঞ্চে থেকেছি। তাই রাফালের মতো বিশ্বের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা দুর্নীতি বা সিবিআইয়ের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে যৌথভাবে পথে নামতে দ্বিধার কোনও কারণ নেই। সে রকম প্রস্তাব এলে নিশ্চয়ই আমরা এনিয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেব’।