গোটা রাজ্যে উন্নয়নের আলো পৌঁছে দিতে চান তিনি। তাই কোনও ভাবেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট বরদাস্ত করবেন না তিনি। আবারও বুঝিয়ে দিলেন তিনি। ‘আমি থাকতেই যদি চারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে, তবে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে সেটা কতবার হতে পারে!’ বুধবার জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে ঠিক এভাবেই প্রশ্ন তুললেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য তিনি বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কর্তাদের কার্যত তুলোধোনা করেন। কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও জানিয়ে দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানতে চাই গোটা রাজ্যে বিদ্যুৎ বণ্টনের কী অবস্থা।’ তিন দিনের মধ্যে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চারদিনের সফরে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার কোচবিহারে যান। সেখানে মঙ্গলবার একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে কোচবিহার থেকে ডুর্য়াসে যান মুখ্যমন্ত্রী। রাতে ডুয়ার্সের মেটেলির একটি টুরিষ্ট কমপ্লেক্সে ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই চারবার লোডশেডিং হয় বলে জানা গিয়েছে। বিকেলে ডুয়ার্সে ফিরে মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন, ওই দিন কার্শিয়াংয়ে এক সভায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকেও বিপাকে পড়তে হয়েছে।
বুধবার ডুয়ার্সে প্রশাসনিক বৈঠকে এক শিল্পোদ্যোগী বিদ্যুৎ বিলের প্রসঙ্গ তুলে ধরতে মমতা নিজেই বলেন, ‘বিদ্যুৎ নিয়ে এত অভিযোগ কেন?’ এরপরই মঙ্গলবার কোচবিহার ও কার্শিয়াংয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রসঙ্গ টেনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যসচিবকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেন তিনি। রিপোর্ট পাওয়ার পর যে কড়া ব্যবস্থা নেবেন তিনি, তা মুখ্যমন্ত্রীর হাবভাবেই বোঝা গেছে।