লাভের বদলে ক্ষতি হতে থাকায় ফ্লেক্সি ফেয়ার কমিয়েছে রেল। কিন্তু স্বস্তিতে থাকার প্রশ্ন নেই। ঘুরপথে মূল্যবৃদ্ধির পথও প্রশস্ত করেছে ভারতীয় রেল। ফ্লেক্সি ফেয়ার কমালেও বাড়ানো হল পণ্য মাসুল। ফলে ফের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
৮.৭৫ শতাংশ পণ্য মাসুল বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে বছরে ৩৩৩৮ কোটি টাকা আয় হবে রেলের। এমনটাই মত রেলমন্ত্রকের। রেলের এই ঘোষণার কারণে এবার থেকে কয়লা, লৌহ আকরিক এবং ইস্পাত পরিবহণের খরচ আরও বাড়তে চলেছে। এছাড়া কন্টেনারে পণ্য পরিবহণে খরচও বেড়েছে। আগের তুলনায় ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে কন্টেনারে পণ্য পরিবহণে খরচ। মন্ত্রকের দাবি, চাল-ডাল বা পেট্রোপণ্যের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের পরিবহণ খরচ একই রাখা হয়েছে। কিন্তু যে ভাবে মালগাড়ির ভাড়া ৫ শতাংশ বৃদ্ধি ও কয়লা পরিবহণের খরচ বাড়ানো হয়েছে, তাতে ফের একপ্রস্থ মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা করছে বণিক সংগঠনগুলি। কারণ কয়লা–সহ অন্যান্য পণ্য পরিবহণে অধিক খরচ হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বৃদ্ধি পাবে।
পণ্য মাসুল বাড়ানোর আগে ফ্লেক্সি ফেয়ার খানিকটা কমিয়েছে রেল৷ মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে আয় বাড়াতে ফ্লেক্সি ফেয়ার ব্যবস্থা চালু করে। এই পদ্ধতিতে কোনও দিনের ১০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হলেই, বাকি টিকিটের দাম ১০ শতাংশ হারে বেড়ে যায়। এ ভাবে কোনও টিকিটের দাম পঞ্চাশ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ায় রেল।এতে শুরুতে রেলের ঘরে বাড়তি টাকা এলেও, এসি প্রথম শ্রেণি ও টু টিয়ারে টিকিটের দাম বিমান ভাড়ার প্রায় সমান হওয়ায় যাত্রী কমতে শুরু হয়।