বিশ্ব বাংলায় এবার মমতার ‘সৌজন্য’ দেখবে বিদেশি অতিথিরা। বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারের পাশাপাশি বাংলায় শিল্প ও কূটনৈতিক সন্মেলনের নতুন ডেস্টিনেশন ‘সৌজন্য’-র উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা টেক্কা দিচ্ছে দিল্লীর হায়দরাবাদ হাউসকেও।
শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মমতা ছাড়াও ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কলকাতায় অবস্থিত কনসাল জেনারেল, শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, মায়াঙ্ক জালান, কবি সুবোধ সরকার, প্রসেনজিৎ-সহ প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ স্তরের আধিকারিকরা।
মূলত রাজ্যে আসা বিদেশি অভ্যাগতদের সঙ্গে কূটনৈতিক বৈঠক করতেই এটি তৈরি। পাশাপাশি সেইসব অতিথিরা যাতে থাকতেও পারে, সেই জন্য সমস্ত রকম আধুনিক ব্যবস্থা দিয়েই ‘সৌজন্য’-কে সাজিয়ে তুলেছে রাজ্যের পূর্ত দফতর।
ভবন উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্প সন্মেলন বা কোনও কূটনৈতিক বৈঠকের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমরা এটি ব্যবহার করতে চাই। আগে মাঝারি ধরণের কূটনৈতিক বৈঠক করার মত কোনও জায়গা ছিল না। মানুষের জন্যই এই পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। কলকাতায় এসে যাতে কেউ বলতে না পারে, এখানে এটা নেই, সেটা নেই।
তাঁর কথায়, গত সাত বছরে রাজ্যে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। গজলডোবা, নবান্নের মতোই হেস্টিংসে সৌজন্য-র এই জমিটিও আমিই খুঁজে বের করেছিলাম। পাশাপাশি তিনি জানান, এই নতুন ভবনটির নামকরণ করেছেন তিনিই। এমনকি বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা ‘সৌজন্য’-র হরফটিও তাঁরই হাতে করা।
সৌজন্য-এর স্থাপত্যের সঙ্গে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসের বেশ মিল থাকলেও, বিভিন্নরকম সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে এটি অনেক এগিয়ে। ভবনের ভিতরে সুদৃশ্য একটি ঝাড়বাতি ইতিমধ্যেই বিশেষভাবে নজর কেড়েছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দেশি-বিদেশি অতিথিদের।
এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘দিল্লীতে একটা হায়দরাবাদ হাউস আছে। তবে এখানে যা থাকার ব্যবস্থা বা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, তা ওখানে নেই। এখানে ন’টি সুবিশাল স্যুইট রয়েছে। কান্ট্রি হেড ও বিদেশি অতিথিরা এলে থাকতে পারবেন এখানে।’ এছাড়াও রয়েছে ব্যাঙ্কোয়েট হল, আন্তর্জাতিক মানের মিডিয়া রুম। ভবনের প্রথম তলায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস ও লাউঞ্জ এবং দ্বিতীয় তলায় সুবিশাল কনফারেন্স হল।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরিকাঠামো উন্নয়নে ইতিমধ্যেই ১৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। বাজেটে আরও ২৫ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছে এ বাবদ। মমতা জানান, নবান্নের পাশে অ্যানেক্স ভবন ‘উপান্ন’ তৈরি হচ্ছে। স্টেট অডিটোরিয়াম ‘ধনধান্যে’র কাজও চলছে জোরকদমে। দীঘাতেও একটা নতুন আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার তৈরি হচ্ছে।