দেওয়ালের কান আছে বটে। তবে সেই দেওয়াল(ওয়াল) যদি হয় ফেসবুক বা ফেসবুকের মত ভার্চুয়াল দুনিয়ার, তাহলে সেক্ষেত্রে যে সব কথা কানে আসে, তার অর্ধেকই ভুল, ডাহা মিথ্যে। সেসব শোনা কথাকে কুৎসা বললেও কম বলা হয়। এমনই কুৎসায় নতুন।সংযোজন হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে ওয়াচ টাওয়ার বসানো হচ্ছে।
ফেসবুক-সহ সকল সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন অাঙ্গিকে চক্রান্ত করে এই কুৎসা ছড়ানো হয়েছিল যে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বসছে ওয়াচ টাওয়ার। এবং তা বসানোর জন্য নাকি টেন্ডারও করা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বিরোধীদের এই চক্রান্তে সামিল হয়েছে এক শ্রেণীর মিডিয়াও।
সোমবার এই খবর কে সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কোনও ‘ওয়াচ টাওয়ার’ নির্মাণ করা হচ্ছে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল তারা। গতকাল রাত ৮ টা ২২ মিনিটে একটি টুইটার বার্তায় রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়, ‘পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হচ্ছে বলে কিছু সংবাদমাধ্যম এবং ব্যক্তি মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এরকম কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততোই বিরোধীদের দ্বারা মমতার নামে কুৎসার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। তবে হাজার কুৎসা করেও, হাজার গুজব ছড়িয়েও মমতার উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে একবিন্দুও বিঘ্ন ঘটাতে পারেনি তারা। তাই বিরোধীদের চক্রান্ত জারি থাকলেও, এখনও মমতার উপর সাধারণ মানুষের আস্থা আগের মতই রয়েছে।
২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা সরকারি বাসভবনে বাস করেন না। এখনও সেই ৩০ বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের টালির বাড়িতেই থাকেন বাংলার এই জনদরদী নেত্রী। আজ পর্যন্ত কখনওই নিজের নিরাপত্তা নিয়ে কখনওই কড়াকড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তিনি। তাই কাজের মানুষ, কাছের মানুষ সবার প্রিয় ‘দিদি’-র নামে হওয়া এই কুৎসার তীব্র সমালোচনা করেছেন বাংলার অগণিত মানুষ।