সাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে রুশ নৌবাহিনী। আমেরিকা ও চীনের সামরিক শক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেই এই আয়োজন। সম্প্রতি রাশিয়ার নৌবাহিনী দিবস উদযাপনের সময় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছেন, বছরের শেষে ২৬টি নতুন রণতরী ও নৌযান নৌবাহিনীকে সরবরাহ করা হবে। পরে আরো কিছুও যুক্ত হবে। ২০২৪ সাল নাগাদ নতুন ৩৭টি নৌযান যুক্ত হতে পারে।
পার্থের কারটিন ইউনিভার্সিটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সহযোগী অধ্যাপক আলেক্সি মুরাভিয়েভের মতে, নতুন নতুন রণতরী যুক্ত করার মানে রাশিয়া তার সামরিক দর্শনে কিছু পরিবর্তন আনছে। বিশেষ করে প্যাসিফিক এলাকায় উপকূলীয় প্রতিরক্ষা নীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে। আলেক্সি মুরাভিয়েভের কথায়, গত পাঁচ বছরে রুশ নৌবাহিনী তার শক্তি অনেক বাড়িয়েছে। তারা এখন স্নায়ুযুদ্ধ পর্যায়ে তাদের শক্তি উন্নীত করেছে। তারা এখন যেকোনো সময় ৭০ থেকে ১০০টি রণতরী মোতায়েন করতে পারে।
রুশ নৌবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ অ্যাডমিরাল ভ্লাদিমির করোলেভ বলেন, রুশ নৌবাহিনী এখন দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। তারা দূরপাল্লার কার্যক্রমেও অংশ নিচ্ছে। তারা ভারত মহাসাগর ও আন্টার্টিকায় যাচ্ছে। অবশ্য সোভিয়েত আমলের চেয়ে এখনকার বহরগুলো ছোট। রুশ রণতরীগুলো পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, হর্ন অফ আফ্রিকা, কোরাল সাগর, ওয়েস্টার্ন প্যাসিফিক, ও ভূমধ্যসাগর জুড়ে দাপাচ্ছে। ন্যাটোকে মোকাবিলা করার জন্য ভূমধ্যসাগর, কৃষ্ণসাগর, বাল্টিক ও উত্তর সাগরে নৌশক্তি বাড়ানোর কথা ভাবছে রাশিয়া। তারা প্যাসিফিক বহরও নতুন করে গড়ার পরিকল্পনা করছে। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত রুশ প্যাসিফিক ফ্লিটে ২৮টি নতুন ইউনিট যুক্ত হয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই সহায়ক ও সহযোগী ইউনিট। ২০১৮ সালের দ্বিতীয়ার্ধে রুশ নৌ ইউনিট দু’টি উন্নত প্রজেক্ট ২২৮০০ গাইডেড-মিসাইল করভেট, একটি প্রজেক্ট ২১৯৮০ গ্রাচেনক কাউন্টার-সাবোটাজ টহল যান ও কয়েকটি সহায়ক জাহাজ পেতে চলেছে। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলগত সমুদ্র পরিকল্পনায় রয়েছে ওয়েস্টার্ন প্যাসিফিক, পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগর, ভারত মহাসাগর, পারস্য উপসাগর ইত্যাদি।