বিসর্জনে ‘ডিজে’ অথবা তারস্বরে মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। একইভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু ক্ষেত্রে। আজ শুক্রবার দশমী থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বিসর্জনের দিন ধার্য করা হয়েছে। তবে ২০ তারিখ শনিবার হওয়ায় নিরঞ্জনের পথে বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলিও খুব একটা আগ্রহী হবে না বলেই মনে করছে প্রশাসন। সেক্ষেত্রে ২১ ও ২২ তারিখই বেশিরভাগ প্রতিমা বিসর্জন হবে। মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, ‘পুরসভার প্রায় পাঁচশো কর্মী গঙ্গার ঘাটে মোতায়েন থাকবেন। ৪৫টি গাড়ি ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে।’
২৩ অক্টোবর রেড রোডে পুজো কার্নিভাল। সেখানে কলকাতা ও শহরতলির ৭৫টি প্রতিমা বিশেষ শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। উল্লেখ্য, এবারের কার্নিভাল ঘিরে বিদেশি প্রতিনিধিদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ। কার্নিভালে যোগ দিতে বিদেশি কনসালগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন বহু বিদেশি প্রতিনিধি।
কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকেও বিসর্জন উপলক্ষে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে ২৪টি ঘাটে বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে। থাকছে লঞ্চ, ডুবুরি। বিসর্জনের কথা মাথায় রেখে রিভার ট্রাফিক পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাটে লাগানো হয়েছে ক্লোজড সার্কিট টিভি, ওয়াচ টাওয়ার। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাড়ি ও বারোয়ারি মিলিয়ে শহরে চার হাজারের কাছাকাছি পুজো হয়। কলকাতা পুরসভা রিভার ট্রাফিক পুলিশের সাহায্যে গঙ্গা দূষণের প্রকোপ ঠেকাতে জালের ব্যবস্থা করার চিন্তাভাবনা করেছে।