৬ বছর ধরে তাঁর বিরুদ্ধে আনা স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে এসেছিলেন। এ বার দানিশ কানেরিয়া স্বীকার করে নিলেন, তিনি গড়াপেটার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। পাশাপাশি পাকিস্তানের এই নির্বাসিত লেগস্পিনার ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন দেশবাসীর কাছ থেকে।
একটি টিভি চ্যানেলে প্রথম তিনি এই অভিযোগ স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, ‘আমার নাম দানিশ কানেরিয়া। আমি স্বীকার করে নিচ্ছি, ২০১২ সালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড আমার বিরুদ্ধে যে দুটো অভিযোগ এনেছিল, তাতে আমি দোষী।’ পাশাপাশি কাউন্টি ক্লাব এসেক্সের হয়ে খেলার সময় সতীর্থ মার্ভিন ওয়েস্টফিল্ডকে স্পট ফিক্সিং কান্ডে জড়ানোর কথাও বৃহস্পতিবার স্বীকার করে নেন প্রাক্তন এই নির্বাসিত পাক স্পিনার।
ইংল্যান্ডের কাউন্টি ম্যাচে স্পট ফিক্সিং করার দায়ে ২০১২ সালে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দেওয়া হয় কানেরিয়াকে। এই শাস্তি দিয়েছিল ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডই।
সংবাদ সংস্থাকে ৩৮ বছর ছুঁই ছুঁই কানেরিয়া বলেছেন, ‘ছ’বছর ধরে আমি যন্ত্রণা সহ্য করে এসেছি। কিন্তু আর অভিযোগ অস্বীকার করতে চাই না। আমি স্বীকার করে নিচ্ছি, এক জুয়াড়ির (অনু ভট্ট) সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। ও আমার বাড়ির সদস্যের মতো হয়ে গিয়েছিল। ২০০৫-০৬ সালে আমরা ভারতেও যাই। যা আমার জীবনের একটা বিশাল ভুল। লোকটা আমাকে প্রায় ব্ল্যাকমেল করা শুরু করেছিল। আমি তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের বলব এই অনু ভট্টের মতো লোকদের থেকে দূরে থাকতে। দেশের ক্রিকেট বোর্ড, দেশের মানুষ যেন আমার অবস্থাটা বুঝতে পেরে আমাকে ক্ষমা করে দেন।’
কানেরিয়া ক্ষমা চাইলেও তাঁর এই স্বীকারোক্তির পরে স্তম্ভিত পাকিস্তান ক্রিকেট মহল। অনেক প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারই মনে করছেন, কানেরিয়া বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। পাকিস্তানের রশিদ লতিফ যেমন বলেছেন, ‘আমি ভাবতাম, কানেরিয়া নির্দোষ। এখন মনে হচ্ছে, ও আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল’। কিংবদন্তি লেগস্পিনার আব্দুল কাদির মনে করেন, দেশের ক্রিকেটের কাছে এটা একটা বড় ধাক্কা।