চালু হতে চলেছে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক। ৫ নভেম্বর বিকালে এই স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহেশতলার নতুন উড়ালপুলেরও উদ্বোধন হবে ওই দিনই। জিঞ্জিরবাজার থেকে বাটানগর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার লম্বা এই উড়ালপুলে থাকছে ৪ লেনের রাস্তা। তৈরি করতে মোট খরচ হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
এখন মন্দির যেতে হচ্ছে ঘুরপথে। দক্ষিণেশ্বরের এই স্কাইওয়াক চালু হয়ে গেলে হেঁটে মন্দির যাওয়ার সুবিধা হবে। আবার নীচ দিয়ে গাড়ি যাওয়া-আসা করতেও কোনও অসুবিধা হবে না। আগে একই রাস্তায় গাড়ি নিয়ে এবং পায়ে হেঁটে যাতায়াত করায় যানজট লেগে থাকত। মন্দিরে পৌঁছতেও বিস্তর হ্যাপা পোহাতে হত। স্কাইওয়াক চালু হয়ে গেলে সেসব ঝামেলা থেকে রেহাই মিলবে।
এই স্কাইওয়াক ১০ মিটার প্রশস্ত। থাকছে ১৪ টি এসকালেটর। ৭ টি ওঠার, ৭ টি নামার। এছাড়াও থাকছে ৪ টি লিফট। প্রতিটি লিফটে ২০ জন করে উঠতে পারবেন। আগে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মন্দিরে যেতে অসুবিধা হত। এখন ফুটপাথ দিয়ে হুইলচেয়ারে করে অনায়াসে তাঁরা পৌঁছতে পারবেন মন্দিরে। পাশাপাশি স্কাইওয়াকে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।
রেল অনুমোদিত সংস্থা রাইটস ইতিমধ্যেই স্কাইওয়াকের নকশা-সহ যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখে ব্যবহারে সক্ষম ও উপযুক্ত বলে ছাড়পত্র দিয়েছে কেএমডিএ-কে। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় দিন গুনছে স্কাইওয়াক।
দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের ভেতর তৈরি হচ্ছে লাইট অ্যাণ্ড সাউন্ড। খুব শীঘ্রই তার কাজ শেষ হবে। স্কাইওয়াকের সঙ্গে সেটিও একই সময়ে চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এসব মিটে গেলে কালীপুজোর সময় অন্য রূপে অবতীর্ণ হবে দক্ষিণেশ্বর মন্দির।