বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয় নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় আগেই। পরে দু’দফায় আরও শক্তি বৃদ্ধি করে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার বেলা বাড়তেই সেই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেয়। ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয় তিতলি।
গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়, ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উপর চাপ বাড়িয়ে ওই ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তি সঞ্চয় করে মারাত্মক সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। আজ, বুধবারই তা আছড়ে পড়তে পারে ওই দুই রাজ্যে। যার প্রভাব পড়বে এ রাজ্যেও। ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে।
যদিও ঘূর্ণিঝড়ের সেই দাপট থাকবে না। কিন্তু বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার হাত থেকে এ ক’দিন রেহাই পাবে না বাংলা। বিশেষত দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলি। আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সেই বৃষ্টি চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে আশ্বাস এটুকুই, পুজোর সময়, অর্থাৎ ষষ্ঠী বা তারপর থেকে বড় মাপের বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত নেই। তবে কপাল খারাপ থাকলে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে।
এসব সত্বেও অবশ্য চিন্তা এড়াতে পারছেন না অধিকাংশ পুজো উদ্যোক্তাই। কারণ শেষ মুহূর্তের আয়োজনে যাঁরা মণ্ডপ থেকে আলো বা প্রতিমার নিঁখুত রূপটান চাইছেন, তাঁরা কিছুতেই দিন তিনেকের বৃষ্টির চিন্তা এড়িয়ে যেতে পারছেন না। ফলে দুশ্চিন্তায় কলকাতার হেভিওয়েট পুজোগুলি। এত টাকা আর পরিশ্রমের সুফল যেন মাঠে না মারা যায়।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি মঙ্গলবারই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে এবং শক্তিও বাড়িয়েছে। আজ ওড়িশার গোপালপুর এবং অন্ধ্রপ্রদেশের লিঙ্গপত্তনমের মধ্যবর্তী অঞ্চলে তার আছড়ে পড়ার কথা। যার জেরে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং হাওড়া ও হুগলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টির ভ্রূকুটি থাকবে কলকাতাতেও। ফলে বৃষ্টিভেজা কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে পুজো উদ্যোক্তাদের।