গত তিন দিনে গুজরাট ছেড়েছেন প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক-কর্মী। তাঁদের বেশীরভাগই উত্তরপ্রদেশ কিংবা বিহারের বাসিন্দা। আজ মঙ্গলবারও থিকথিকে ভিড় আমেদাবাদ স্টেশনে। চোখে-মুখে আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তা নিয়ে তাঁরা মোদীর রাজ্য ছাড়ছেন।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে মেহেসানায় ১৪ মাসের একটি শিশুকে এক বিহারি শ্রমিক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এরপরেই তার গ্রেপ্তারির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে গুজরাট। এর পাশাপাশি শুরু হয় ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন। বিহার বা উত্তরপ্রদেশের কর্মী দেখলেই তাঁদের ওপরে আক্রমণের ঘটনা ঘটছে।
গুজরাটের এই হামলার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও উঠেছে ঝড়। প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্র সরকার বিশেষত গুজরাটের প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন এখনও নির্বিকার? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বারাণসী থেকে হিন্দিভাষীদের ভোটেই নরেন্দ্র মোদী ভোটে জিতেছেন। আর তাঁরই রাজ্যে, তাঁর দলেরই সরকারের উপস্থিতিতে হিন্দীভাষীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। ২০১৯ লোকসভা ভোটে কোন মুখে সেখানে ভোট চাইতে যাবেন মোদী?
রাজ্য পুলিশের ডিজি স্বীকার করে নিয়েছেন হামলার কথা। জানিয়েছেন, শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ৪২ টি। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দুজনকে চিহ্নিত করেছে সাইবার ক্রাইম সেল।