মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বোধনে মহালয়াতেই ‘বোধন’ হয়ে গেল দুর্গোৎসবের।বাগবাজার সর্বজনীনের পুজোর প্রদীপ জ্বালিয়ে মমতা বলেন, ‘দেবীকে আহ্বান জানিয়ে গেলাম’। এবারই প্রথম বাগবাজারের পুজোয় আসেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পুজো এবার ১০০ বছরে পড়লো। মমতার উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় উৎসব।
চেতলা অগ্রণীর মণ্ডপে প্রতিমার চোখ আঁকেন মুখ্যমন্ত্রী। নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ, যোধপুর পার্কের ৯৫ পল্লী ও কালীঘাট মিলন সঙ্ঘের প্রতিমারও উদ্বোধন করেন মমতা। বেঁধে দেন উৎসবের সুর। মমতার কথায়, ‘বাংলায় উৎসব নিয়ে কখনও কোনও ভেদাভেদ হয় না। এখানে উৎসব সকলের। উৎসবে ধর্মের কোনও ভেদাভেদ, বিভাজন কাম্য নয়’।
বিভিন্ন মণ্ডপে প্রতিমার আবরণ উন্মোচনের সঙ্গে চণ্ডীপাঠও করেন মমতা। ঘুরে ঘুরে দেখেন মণ্ডপের কারুকাজ। সঙ্গে উৎসবের দিনগুলিতে সকলকে সতর্ক থাকতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের নেতাদের এলাকায় থাকার পরামর্শ দেন। বলেন, ‘উৎসবের সময় আনন্দের পাশাপাশি মানুষের পাশে থাকতে হবে। বাংলার এই উৎসবে বিদেশ থেকেও বহু দর্শনার্থী আসেন। উৎসবের সময় আমাদের পুলিশ-প্রশাসন ভালো কাজ করে। গত কয়েকবছর ধরে শান্তিতেই পুজো হয়েছে। আমি মনে করি, এবারও শান্তিতে পুজো হবে। তবু আমাদের খেয়াল রাখতে হবে’। মণ্ডপে প্রতিমা দেখার পাশাপাশি মমতাকে দেখতেও উপচে পড়ে ভিড়।
বিভিন্ন মণ্ডপের প্রতিমা এবং আলোকসজ্জার ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাগবাজারে মমতার সঙ্গে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শশী পাঁজা, সাধন পাণ্ডে প্রমুখ। নাকতলায় ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, চেতলায় ফিরহাদ হাকিম, যোধপুর পার্কে মেয়র পারিষদ রতন দে। মহালয়ার দিন মণ্ডপে ভিড় দেখে খুশি মমতা বলেন, ‘উৎসব শুরু হয়ে গেল’।