বুকে সংক্রমণ নিয়ে আবারও হাসপাতালে ভর্তি হলেন বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা দিলীপ কুমার। রবিবার রাতে তাঁকে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর নিউমোনিয়ার চিকিত্সা চলছে।
আগেরবারের মত এবারেও দিলীপ কুমারের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে তাঁর অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন পারিবারিক বন্ধু ফয়জল ফারুকি। তিনি লিখেছেন, ‘আপনাদের জানাতে চাই, গত রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে দিলীপ কুমারকে। তাঁর নিউমোনিয়ার চিকিত্সা চলছে। তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি…টুইটারে আপনাদের আপডেট জানাতে থাকব।’
বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ এই কিংবদন্তী অভিনেতা। মাঝেমধ্যেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসেও বুকে সংক্রমণজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। তখনও বুকে সংক্রমণ ও নিউমোনিয়া হওয়ায় বাড়াবাড়ি রকমের অসুস্থ ছিলেন তিনি। আইসিইউ -তে বেশ কিছুদিন থাকার পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, দিলীপ সাব এখন আর কাউকেই চিনতে পারেন না। এমনকি তাঁর স্ত্রী তথা একসময়ের বলিউড হার্টথ্রব সায়রা বানুকেও না। কোনও কথাই বলেন না তিনি। ইদানীং নিজে কিছুই করতে পারেন না। কোনও চেতনাই নেই তাঁর। তবে সায়রা বানু তাঁর ৯৫ বছরের স্বামীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
দিলীপ কুমারের জন্ম ১৯২২ সালে। তাঁর প্রথম ছবি জোয়ার ভাটা (১৯৪৪)। ট্রাজেডি কিং হিসেবে খ্যাত এই অভিনেতা বলিউডে প্রথম থেকেই নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছিলেন তিনি। রোম্যান্টিক নায়ক হিসেবেও বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। ‘আন্দাজ’, ‘দীদার’, ‘দেবদাস’, ‘বাবুল’, ‘মধুমতী’, ‘ নয়া দৌড়’, ‘মুঘল-এ-আজম’, ‘রাম অর শ্যাম’-এর মত ছবিগুলিতে দিলীপ কুমারের অভিনয় ও তাঁর গলায় মহম্মদ রফির গান হিন্দি ছবিতে নতুন এক যুগের সূচনা করে। প্রায় ছয় দশক ধরে ৬৫টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
১৯৯৮ সালে ‘কিলা’ ছবিতে শেষবারের মতো দেখা দিলীপ কুমারকে। ১৯৯৪ সালে ‘দাদাসাহেব ফালকে’ এবং ২০১৫ সালে ‘পদ্মভূষণ’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয় তাঁকে। প্রসঙ্গত, এ বছর ডিসেম্বর মাসেই ৯৬ বছরে পা দেবেন দিলীপ কুমার। তাঁর অনুগামীদের আশা, এর আগেই পুরোপুরি ভাবে সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি।