ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার প্রতি দুয়োরানিসুলভ আচরণ অব্যাহত রেখেছে মোদী সরকার। বারবার উঠেছে বঞ্চনার অভিযোগ। এবার চলচ্চিত্রের আঙিনাতেও ফুটে উঠল সেই চিত্র। উল্লেখ্য, নির্বাক যুগ থেকে ভারতের চলচ্চিত্র জগতের কেন্দ্রভূমি ছিল বাংলা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চেও চলত বাঙালিদের দাপট। ১৯৬৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত, বাংলায় সেরা চলচ্চিত্র পরিচালকের সম্মান এসেছিল ২১ বার। শীর্ষে বাংলাই। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেরল, সে রাজ্যের পরিচালকরা ১৪ বার সেরার সম্মান পেয়েছেন। শেষবার বাংলা এ সম্মান পেয়েছিল ২০১৪ সালে, সেরা পরিচালক হয়েছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তারপর কেটে গেল এক দশক। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, কেউ কেউ বলছেন; বাঙালি পরিচালকরা কি আর ভাল ছবি বানাতে পারছেন না? নাকি এখানেও রয়েছে রাজনীতি? বাংলাকে বঞ্চিত করার প্রবণতা? উঠছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, এপ্রসঙ্গে কয়েক বছর আগের এক ঘটনার উদাহরণ টানছেন কেউ কেউ। ব্রাত্য বসু পরিচালিত ‘ডিকশনারি’ ছবিটি কেন্দ্রীয় সরকারের গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা পেয়েছিল। পরে সেটি বাদ দেওয়া হয়। বরেণ্য পরিচালকদের কেউ কেউ রাজনৈতিক কারণের কথাও বলছেন। ছবির বিচারে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগও করছেন কেউ কেউ। সত্যজিৎ রায় ছ’বার সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছিলেন। মৃণাল সেন চার বার পেয়েছিলেন। গৌতম ঘোষ, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, অপর্ণা সেন, ঋতুপর্ণ ঘোষ দু’বার করে এই সম্মান পেয়েছেন। সৃজিত মুখোপাধ্যায়, উৎপলেন্দু চক্রবর্তী ও তপন সিনহা একবারে সেরা পরিচালকের পুরস্কার পান। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে মোদী জমানায় বাংলার পরিচালকেরা আর সে পুরস্কার পাননি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়। সরব হয়েছে একাধিক মহল।