কলকাতায় থিমের পুজোগুলি যতটা ভিড়ের ততটাই পুরস্কারেরও। কে কটা পুরস্কার নিজেদের ঝুলিতে আনতে পারল সেই নিয়ে চলে জোরদার প্রতিযোগিতা। ইদানীং পুরস্কার দেওয়ারও হিড়িকও বেড়েছে। বিভিন্ন সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন বিষয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও পুজো উদ্যোক্তাদের নজর থাকে সরকারি পুরস্কারগুলির দিকেই। কর্মকর্তাদের কথায়, সরকারি পুরস্কার অনেক বেশী ‘প্রেস্টিজিয়াস’। তাই চলে জোর লড়াই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে যে পুরস্কার চালু হয়েছে, তা পাওয়ার আকাঙ্খায় দিন গুনছে থিমের পুজোগুলি। শ্রেষ্ঠ প্রতিমা, মণ্ডপ বা আলোকসজ্জার পাশাপাশি নতুন ভাবনার প্রতি সম্মান জানাচ্ছে কলকাতা পুরসভাও। নাম ‘স্বাস্থ্য-বান্ধব শারদ সম্মান’। তবে বড় পুজোর উদ্যোক্তাদের বিশেষ নজর ‘বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান’-এর দিকে। গোটা রাজ্যের ৩৪৪ টি ব্লক, গোটা দেশের বিভিন্ন পুজো এবং বিদেশে থাকা প্রবাসী বাঙালিদের পুজোও এই প্রতিযগিতার আওতায় পড়ছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ফর্ম রেজিস্ট্রেশনের কাজ। ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতা এবং জেলার পুজোগুলি ঘুরে দেখবেন বিচারকেরা। রাজ্যেই বাইরে বা বিদেশের পুজোগুলির ক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্স বা ছবির মাধ্যমে দেখা হবে। তাঁদের কাছ থেকে অনলাইনেই নেওয়া হবে আবেদনপত্র। ষষ্ঠীর দিনেই ঘোষণা করা হবে বিজেতাদের নাম। ওয়েবসাইটেও তুলে দেওয়া হবে।
কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় যেসব বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে সেগুলি হল, সেরা প্রতিমা, সেরা মণ্ডপ, সেরা ভাবনা, সেরা আলোকসজ্জা, সেরা পরিবেশবান্ধব, সেরা আবিষ্কার, সেরা আবহ, সেরা শিল্পী, সেরা ঢাকেশ্রী, সেরা বিশ্ববাংলা ব্র্যাণ্ডিং, সেরা সাবেকি এবং সেরার সেরা পুজো। বাকি ২২ টি জেলায় যেসব বিষয়ে পুরস্কার দেওয়া হবে সেগুলি হল সেরা পুজো, সেরা প্রতিমা এবং সেরা মণ্ডপ।
স্বাস্থ্য বান্ধব শারদ সম্মানের ক্ষেত্রে পুজোগুলিকে আবেদন জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড অফিসে। যে এলাকায় পুজো, সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অন্তত দুদিন ধরে ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতার প্রচার করতে হবে পুজো কমিটিগুলিকে। করতে হবে একটি শিবিরও। লিফলেট বা ব্যনার দিয়ে সাহায্য করবে পুরসভা। প্রমাণ হিসাবে শিবিরের ভিডিও রেকর্ডিং জমা দিতে হবে পুরসভায়। সেরা ১০ পুজো কমিটিকে পঞ্চমীর দিন দেওয়া হবে স্বাস্থ্য বান্ধব শারদ সম্মান।