ফুটবল খুব বেশি বদলায়নি বলে মনে করছেন পেলে। ব্রাজিলের এই কিংবদন্তি খেলোয়াড় মনে করেন, এখনকার সুযোগ-সুবিধা নিজের কেরিয়ার সময় পেলে ২০০০ গোল করতেন।
পেশাদার ফুটবলে পা রাখেন ১৫ বছর বয়সে। ১৬ বছর বয়সে গায়ে তোলেন ব্রাজিলের বিখ্যাত নীল-হলুদ জার্সি। সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে যখন বিশ্বকাপ জেতেন, তখন বয়স সবে ১৭। তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলে পুরো কেরিয়ারে খেলেছেন ১ হাজার ৩৬৩টি ম্যাচ। গোল করেছেন ১ হাজার ২৮৩টি। ফুটবল সম্রাটের ঝুলিতে রয়েছে তিনটি বিশ্বকাপ।
কিন্তু তিনি যদি জন্ম নিতেন এই সময়ে, পারতেন ফুটবল আকাশের জ্বলজ্বলে নক্ষত্র হতে? লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমারদের টেক্কা দিয়ে শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের আসনে বসতে পারতেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি? পেলের কথায়, শুধু তিনিই নন, ওই সময়ের সব ভালো ফুটবলারই এখনও ভালো খেলতেন। দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় পেলে বলেছেন, ‘ফুটবল খুব বেশি বদলায়নি। ২০ বছর আগে যারা ভালো খেলোয়াড় ছিল, তারা এখনো ভালোই খেলত। ফুটবলের আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা বেড়েছে। এসব সুযোগ সুবিধা যদি আমার সময়ে থাকতো, হয়তো ২ হাজারের মতো গোল করতাম আমি।’
যুগে যুগে ব্রাজিলে এত তারকা ফুটবলার জন্ম নেওয়ার রহস্য কি ? পেলে অবশ্য মনে করেন এটি ঈশ্বরের উপহার, ‘ব্রাজিলে কীভাবে যুগে যুগে এত তারকা ফুটবলার আসে, এটা একমাত্র ঈশ্বরই জানেন। কখনও কখনও তো আমার মনে হয়, ব্রাজিল দলকে ঈশ্বরই কোচিং করান।’
এডসন অরান্তেস দো নাসিমেন্তো পেলে হয়তো ঠিকই বলেছেন, ব্রাজিলে ফুটবল প্রতিভা ঈশ্বরই গড়ে তোলেন!