আর বিজেপির হয়ে প্রচার করবেন না মোদীজি। বলবেন না ‘আচ্ছে দিন’-এর কথাও। লোকজন এখন বাঁকা চোখে তাকাচ্ছে। ট্যারাবাঁকা প্রশ্ন করে অস্বস্তিতে ফেলছে। তাই এবার বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরবেন মোদীজি। তবে ইনি আসল মোদী নন। ইনি নকল মোদী, অভিনন্দন পাঠক।
উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের বাসিন্দা অভিনন্দনকে দেখতে একেবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতোই। একই রকম দাড়ির ছাঁট, একই ফ্রেমের চশমা, একইরকম হাবভাব, যেন হুবহু মোদীই। ধরিয়ে না দিলে বোঝার উপায় নেই ইনি মোদী নন, অভিনন্দন। তাই লোক টানতে অভিনন্দন পাঠককে বাজারে নামিয়েছিল বিজেপি। ধরাচূড়া পড়ে অভিনন্দন হাজির হয়ে যেতেন সভা-সমাবেশে কিংবা ভোটারের বাড়ি। তারপর আউড়ে যেতেন মোদীর দেওয়া ভাষণ। বলতেন ‘ভয় নেই বিজেপিকে ভোট দিন। মোদীজির ‘আচ্ছে দিন’ এসে গেল বলে’।
বেশ চলছিল। লোকজন ডেকে বসাতেন। চা-মিষ্টি খাওয়াতেন। হাসি-ঠাট্টাও চলত। কিন্তু ইদানীং হাওয়া যেন পাল্টে গেছে। চা-মিষ্টি খাওয়ানো দূরের কথা, লোকের মুখের হাসিই উধাও। সেই আন্তরিকতাও আর নেই। ‘আচ্ছে দিন’-এর কথা শুনে লোকজন পাল্টা প্রশ্ন করছে, কবে আসবে? এতদিনেও এল না কেন? আদৌ আসবে তো? অভিনন্দনের কথায় ‘এসব প্রশ্ন শুনে অস্থির অস্থির লাগত। জবাব দিতে পারতাম না। শেষ পর্যন্ত গোরখপুরে হেরেই গেল বিজেপি’।
তারপর থেকেই সংশয়ে ছিলেন। এবার সরাসরি জানিয়েই দিলেন, বিজেপি ছেড়ে দিচ্ছেন। বললেন, ‘আর ‘আচ্ছে দিন’-এর গল্প খাচ্ছে না পাবলিক। এখন ওসব বলতে গেলে লোকজন পিটিয়েই মেরে ফেলবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রচার করতে গিয়ে শেষে পিতৃদত্ত প্রাণটা খোয়াব নাকি!’ বিজেপিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়লেন না। বললেন, ‘বিজেপি তো নিজেদের কথা বলতেই ব্যস্ত। জনতার কথা শোনার সময় নেই ওদের’।
তাহলে এখন কি করবেন? ‘কেন? কংগ্রেস করবো’। সাফ জানিয়ে দিলেন অভিনন্দন। ইতিমধ্যেই লখনউ গিয়ে রাজ ব্বরের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবার আশ্বাসও পেয়েছেন। এখন দেখার নকল মোদীজিকে কীভাবে কাজে লাগায় কংগ্রেস।