এতদিন রাফাল নিয়ে কংগ্রেস বিরোধিতা করেছে। প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওল্যাদের মন্তব্য নিয়ে ঝড় উঠেছে। কিন্তু এবার ঘরের লোকের বিবৃতি চাপে ফেলে দিল মোদী সরকারকে। এই বিবৃতি এসেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের যুগ্ম সচিব ও অ্যাকুইজিশান ম্যানেজারের থেকে। জানা গেছে, বেশি দামে রাফাল কেনা নিয়ে লিখিতভাবে তাঁর আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
দিল্লীর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আগে ১২৬ টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার সময় যে দাম ঠিক হয়েছিল, সেই তুলনায় বেশী দাম দিয়ে ৩৬ টি যুদ্ধবিমান কেনায় আপত্তি জানিয়েছিলেন ওই যুগ্ম সচিব। তাঁর দ্বিতীয় আপত্তি ছিল, যুদ্ধবিমান ইউরোফাইটারের নির্মাতা জার্মান সংস্থা তাঁদের টেণ্ডারে উল্লিখিত দামের ওপর ২০ শতাংশ ছাড় দিতে চেয়েছে। তা হলে, রাফালের ক্ষেত্রেও নির্মাতাদের ২০ শতাংশ ছাড় দিতে বলা হবে না কেন? অবশ্য এমন নোট পাঠাবার পরেই ওই অফিসারকে একমাসের জন্য ছুটিতে যেতে হয়। ওপরওয়ালাও সেই নোট অগ্রাহ্য করেন। এই খবর প্রকাশিত হতেই আসরে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী, জয়পাল রেড্ডীরা বলতে শুরু করেছেন, রাফাল কেলেঙ্কারি থেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিত্রাণের কোনও উপায় নেই।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যুগ্মসচিবের আপত্তির কাঁটাটা এখণ মোদী সরকারের গলায় বিঁধে থাকবে। কারণ এই আপত্তির কথাটা লিখিতভাবে থাকলে পরে তা সরানো যায় না। সে জন্য মন্ত্রীরা যুগ্ম সচিবের নোটকে খুবই গুরুত্ব দেন। প্রধানমন্ত্রী চুক্তি করে ফেলার পর আম্লাদের ওপর প্রবল চাপ থাকে তার অনুমোদনের ব্যবস্থা করার জন্য। তারপরেও একজন যুগ্মসচিব যদি এই আপত্তি করে থাকেন তাহলে বুঝতে হবে এর গুরুত্ব কতটা।
কংগ্রেস সভাপতি হিন্দিতে একটি কবিতা টুইট করেন। যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, যে অফিসার চুরি বন্ধ করতে গিয়েছিল, সরকার তাকেই সরিয়ে দিল। এখন সবাই মিলে চুরি থামাব। মধ্যপ্রেদেশের এক জনসভায় রাহুল প্রশ্ন তোলেন, ‘যারা ৪৫ হাজার কোটি টাকার ঋণে ডুবে আছে সেই অনিল আম্বানীর কোম্পানির সঙ্গে কেন রাফালের অফসেট চুক্তি করা হল? আপনি যদি সত্যিই দেশের চৌকিদার হন, তাহলে কেন ৫৬০ কোটির রাফাল ১৬০০ কোটিতে কেনা হল?