জবাব দেবেন বাংলার মানুষই। যেভাবে সিপিএমকে জবাব দিয়েছে রাজ্যবাসী, একইভাবে জবাব পাবে বিজেপিও। কেশিয়াড়ির ঘটনার পর, এভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী। বুধবার সন্ধ্যায় কেশিয়াড়ির খাজরায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং তৃণমূল কর্মী বিভুরঞ্জন দাস। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে পুলিশ জানতে পারে, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে। বিভুরঞ্জনের অপরাধ ছিল, সে বিজেপির ডাকা বনধের দিনে নিজের পান দোকান খোলা রেখেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই কেশিয়াড়ির দখল পেতে ওডিশা, গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম থেকে দুষ্কৃতীদের এনে তান্ডব চালাচ্ছে বিজেপি। তাঁদের ভাড়া করা দুষ্কৃতীদের গুলিতেই প্রাণ যায়, দলের কর্মী বিভুরঞ্জনের।
খুনের প্রতিবাদে গতকাল, বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে কালা দিবস পালন করে তৃণমূল। প্রতিবাদ ও ধিক্কার মিছিল করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। সেই মিছিলে পা মেলান সুব্রত বক্সী, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, সাংসদ ডাঃ মানস ভুঁইয়া, জেলা সভাপতি অজিত মাইতি-সহ জেলার তৃণমূল বিধায়কেরা।
বৃহস্পতিবার বিকালে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত হয় বিভুরঞ্জনের। ফুলের মালা দিয়ে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানান সুব্রত বক্সী-সহ আরও অনেকে। সেখানেই সুব্রত বক্সী বলেন, ‘দেশ জুড়ে যারা গুণ্ডামি করে বেড়াচ্ছে, তারা বাংলাকেও অশান্ত করতে চাইছে। এর আগে সিপিএমের গুন্ডামির জবাব দিয়েছেন বাংলার মানুষ। এবারও দেবেন। শুধু দিলীপ ঘোষ নয়, তাঁদের দলের সকলেই শীঘ্র এর জবাব পাবেন। দেশের মানুষই কেন্দ্রে ক্ষমতার পাহাড় থেকে তাঁদের মাটিতে ছুঁড়ে ফেলবেন।’ মিছিলে পা মেলানোর সময়ও সুব্রত বাবু বলেন, ‘মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ছিনিয়ে নিয়ে শুধু পেশি দেখিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে, বাংলার মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে না। কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি সরকার অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা সত্ত্বেও, সাড়ে ন’কোটি মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে যেভাবে গোটা বাংলায় উন্নয়নের জোয়ার এনেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাকে থামিয়ে দেওয়া যাবে না। ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে বিজেপি সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেছে। এখানেও তা চালাতে চাইছে। কিন্তু সেটা চলবে না।’ তাঁর মতে, ইসলামপুরের মতই আবারও বাইরে থেকে ভাড়া করা দুষ্কৃতীদের এনে কেশিয়াড়িতে হামলা চালিয়েছে বিজেপি। ঘটনার তদন্ত চলছে। দোষীদের রেয়াত করা হবে না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও জোরদার করার বার্তাও দেন তিনি।